Suvendu Adhikari: নববর্ষে 'শুভনন্দন' মমতার, পাল্টা দাঙ্গাবাজদের 'বরাহনন্দন' কটাক্ষ শুভেন্দুর

রাজ্যে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক অশান্তির আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা এবং বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে। শুভেন্দুর কটাক্ষ, "রোম যখন জ্বলছিল, তখন সম্রাট নিরো বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। আজ পশ্চিমবঙ্গেও একই চিত্র—রাজ্যে যখন দাঙ্গার আগুন ছড়াচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী গান গাইছেন!"

Advertisement
নববর্ষে 'শুভনন্দন' মমতার, পাল্টা দাঙ্গাবাজদের 'বরাহনন্দন' কটাক্ষ শুভেন্দুরশুভেন্দু অধিকারী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • রাজ্যে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক অশান্তির আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা এবং বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে।
  • শুভেন্দুর কটাক্ষ, "রোম যখন জ্বলছিল, তখন সম্রাট নিরো বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। আজ পশ্চিমবঙ্গেও একই চিত্র—রাজ্যে যখন দাঙ্গার আগুন ছড়াচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী গান গাইছেন!"

রাজ্যে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক অশান্তির আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা এবং বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে। শুভেন্দুর কটাক্ষ, "রোম যখন জ্বলছিল, তখন সম্রাট নিরো বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। আজ পশ্চিমবঙ্গেও একই চিত্র—রাজ্যে যখন দাঙ্গার আগুন ছড়াচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী গান গাইছেন!"

এই মন্তব্যের মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ‘শুভনন্দন’ বার্তার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানানোর আগে, যারা দাঙ্গা করছে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে, খুন করছে—তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিলে রাজ্যের মানুষ নিজেদের সুরক্ষিত মনে করত।”

শুভেন্দু অধিকারী একই সঙ্গে ২০ জুনকে 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' হিসেবে পালনের প্রস্তাব ঘিরে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি জানান, ভারত বিভাজনের সময় বাংলার ভাগ্য নির্ধারণে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৭ সালের ২০শে জুন বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে ২০ জুন তারিখেই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালিত হবে বলে জানান শুভেন্দু।

তিনি আরও বলেন, “আপনি ইতিহাস মুছে ফেলার যতই চেষ্টা করুন না কেন, পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলানো যাবে না। 'পশ্চিম' শব্দটি রক্তাক্ত ইতিহাসের সাক্ষী—এমন একটি অধ্যায় যা আপনি ভুলিয়ে দিতে চাইলেও আপনার কাজই বরং সেই ইতিহাসকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে।”

বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছর থেকে সরকারিভাবে 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালনের দাবি আরও জোরদার করা হবে। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগের কোনও স্বীকৃতি এখনও মেলেনি।

 

POST A COMMENT
Advertisement