Suvendu Adhikari: হঠাত্‍ কল্যাণের প্রশংসা শুভেন্দুর মুখে, কী বলছেন বিরোধী দলনেতা?

তৃণমূল কংগ্রেসে নেতৃত্বে বড় পরিবর্তনের পর দলীয় অন্দরে নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভার দলনেতা ঘোষণা করেন। এর পরপরই লোকসভার মুখ্য সচেতক পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ।

Advertisement
হঠাত্‍ কল্যাণের প্রশংসা শুভেন্দুর মুখে, কী বলছেন বিরোধী দলনেতা?শুভেন্দু অধিকারী ও কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়।-কোলাজ
হাইলাইটস
  • তৃণমূল কংগ্রেসে নেতৃত্বে বড় পরিবর্তনের পর দলীয় অন্দরে নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • সোমবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভার দলনেতা ঘোষণা করেন।

তৃণমূল কংগ্রেসে নেতৃত্বে বড় পরিবর্তনের পর দলীয় অন্দরে নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভার দলনেতা ঘোষণা করেন। এর পরপরই লোকসভার মুখ্য সচেতক পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ।

ইস্তফার কারণ হিসেবে তিনি জানান, নেত্রী তাঁর উপর আস্থা রাখতে পারেননি, তাই এই সিদ্ধান্ত। তবে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এটাই কি একমাত্র কারণ, নাকি সহকর্মী সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে সংঘাতও এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে? ইস্তফার ঠিক আগে মহুয়ার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দীর্ঘ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কল্যাণ।

মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষিত মানুষ। ২০১১ সালের আগে সিপিএমের সঙ্গে যে সংঘর্ষ ছিল, তাতে কল্যাণের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।' শুভেন্দুর এই প্রশংসা রাজনৈতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, ইস্তফার পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কল্যাণকে ফোন করে আগামী তিন-চার দিন আগের মতোই মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব সামলানোর অনুরোধ জানান। পাশাপাশি, অতিরিক্ত মান-অভিমান না করার পরামর্শও দেন। অভিষেক আগামী ৭ আগস্ট দিল্লি গিয়ে কল্যাণের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করবেন বলেও জানা গেছে।

অন্যদিকে, কল্যাণ জানিয়েছেন, তিনি লোকসভার সহকারী নেতা কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে অনুরোধ করেছেন যেন তাঁর জন্য পিছনের দিকে একটি আসন নির্দিষ্ট করা হয়। সখেদ মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'আমার দরকার ফুরিয়ে গিয়েছে।' পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রীকে উদ্দেশ করে যোগ করেন, 'এবার দিদিই দল চালান।'

 

POST A COMMENT
Advertisement