আগামী ২২ অগাস্ট দমদমে মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনটি নতুন মেট্রো রুট উদ্বোধনের সেই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সূত্রের খবর, আমন্ত্রণ পেলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না। বিষয়টিতে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, 'আগেও দেখেছি আমি থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি হয়।'
শুভেন্দুর বক্তব্য, 'বিরোধী দলনেতাকে ডাকলে ওনার অস্বস্তি হয়। হাওড়া, কলাইকুণ্ডার অনুষ্ঠানেও সেটা দেখা গিয়েছে। অথচ রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে মেট্রোর উদ্বোধনে তাঁর উপস্থিত থাকা উচিত।'
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে রাজ্যে জঙ্গি নেটওয়ার্ক নিয়েও সতর্ক করলেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, 'সোনারপুর থেকে লাল্টু শেখ ও আবদুল মান্নান, ক্যানিং থেকে জাভেদ মুন্সি গ্রেফতার হয়েছে। এরা জঙ্গি যোগে জড়িত। কলকাতা থেকেও বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের খুনি ধরা পড়েছে। বহু নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যকলাপ চলছে রাজ্যে। এনআইএকে আরও সক্রিয় হতে হবে।'
পুলিশের স্ত্রীদের সাংবাদিক বৈঠক ও বিতর্ক
সম্প্রতি ‘নবান্ন অভিযান’-এর পরে পার্ক স্ট্রিটে পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মাকে উদ্দেশ করে ‘কুমন্তব্য’ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আবাসিক মহিলা সংগঠনের সদস্যারা। সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের অতীত মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। শুভেন্দুর দাবি, 'ওই মহিলাদের বক্তব্য আসলে সাজানো। পিটিএস অডিটোরিয়ামে রিহার্সাল করানো হয়েছিল। দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু সিনহা বিশ্বাস, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বাজার পর্যন্ত করেন। তাঁকে বেআইনি ভাবে দু’বছরের এক্সটেনশন ও প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। আমরা কোর্টে যাব।'