রাজ্য সরকারের আনা ধর্ষণ বিরোধী বিল 'অপরাজিতা বিল'কে পূর্ণ সমর্থন জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, 'এই বিল আনতে তাড়াহুড়ো করলেন কেন? চাইলে বলতে পারতাম সিলেক্ট কমিটিতে পাঠান। কিন্তু আমরা শাস্তি চাই। ভোটাভুটি চাইব না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনব। এই বিল দ্রুত কার্যকর করতে হবে।'
বিল প্রসঙ্গে বিধানসভায় মঙ্গলবার শুভেন্দু আরও বলেন, 'বিলটিকে আইনে পরিণত করার দায়িত্ব সরকারের।' এর পাল্টা পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাজ্যপালকে বলুন বিলে সই করতে। তার পর কার্যকর করার দায়িত্ব আমাদের।'
অন্য দিকে, আরজি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এদিন শুভেন্দু বলেন, 'চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা। আন্তর্জাতিক স্তরেও নিন্দিত হচ্ছে। বিপুল জনরোষ, বিক্ষোভ থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে সরকার।' পাশাপাশি, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে এদিন মমতা সরকারকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। পার্ক স্ট্রিট, কামদুনি গণধর্ষণের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা। এই ঘটনাগুলিতে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে সরব হন শুভেন্দু। যার জেরে বিধানসভায় হট্টগোল বাধে।
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সমাজের সর্বস্তরে আন্দোলন হচ্ছে। গতকাল থেকে লালবাজারের অদূরে অবস্থানে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এখনও চলছে কর্মবিরতি। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। ধর্মতলায় ধর্না করছে পদ্ম শিবির। গত সপ্তাহে বাংলা বনধ ডেকেছিল তারা। এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের একাধিক নেতা-বিধায়কের নানা মন্তব্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এমন আবহে ধর্ষণ বিরোধী বিল আনল রাজ্য সরকার। যে বিলকে সমর্থন জানাল বিজেপি।