মহেশতলার ঘটনায় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সন্ধ্যায় ভবানী ভবনে ডিজির সঙ্গে দেখা করতে যান বিরোধী দলনেতা। তবে ডিজি তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি বলে দাবি করেছেন তিনি। ভবানী ভবন থেকে বেরোনোর সময় শুভেন্দু বলেন, 'হিন্দুদের বাড়িতে, দোকানে লুট, ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। বহু গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশ ও হিন্দুদের বাঁচানোর জন্য আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হোক।' বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এই নিয়ে সরব হবেন বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু?
ভবানী ভবনে শুভেন্দু বলেন, 'আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হোক। পুলিশ ফেল, মমতা ফেল।' তিনি আরও বলেন, 'জেহাদিদের সরকার চলছে। ২০২৬ সালের এই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হবেন। রাজীব কুমারকে থাকতে হবে। আজকের দিনটা নোট করে রাখছি।' ভবানী ভবন চত্বরে জয় শ্রীরাম স্লোগানও দিতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন, 'হিন্দু বিরোধী সরকার, আর নেই দরকার।'
কী ঘটেছে মহেশতলায়?
দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। বুধবার গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে পুলিশকর্মীরা জখম হয়েছেন বলে দাবি। ইটবৃষ্টিতে রক্তাক্ত হয়েছেন পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনগর থানার সামনে বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। উন্মত্ত জনতার রোষ সামাল দিতে হিমশিম খেতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে।
কয়েক দিন আগেই সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকা। ৩ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে এবার মহেশতলায় গোষ্ঠীসংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। যা ঘিরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।