Swastha Sathi Card Benefits: বেসরকারি হাসপাতালে (Private Hospitals) চিকিৎসা করাতে বিপুল খরচের বোঝা কমল। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে (Swastha Sathi Card) একলাফে পাঁচগুণ বেশি অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ফলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আগে যারা ৫ হাজার টাকা পেতেন, তারা এবার এই প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা পাবেন। এছাড়াও, রাজ্য সরকারি হাসপাতালে এবার থেকে কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিক ইমপ্ল্যান্টের জন্য যে অর্থ খরচ হয়, তাও এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনেই পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করার পদ্ধতি
- দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারেন।
- ক্যাম্প থেকে ফর্ম নিয়ে সমস্ত সহায়ক নথির সঙ্গে এটি জমা দিতে হবে।
- অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া স্বাস্থ্য সাথী স্কিমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (swasthyasathi.gov.in) পাবেন।
- আধার কার্ডের কপি, পরিচয় প্রমাণের কপি, ঠিকানার প্রমাণের কপি লাগবে।
সরকারি হাসপাতালে যে যে চিকিৎসার খরচ সরকার মেটাবে- হার্টের ক্ষেত্রে স্টেন্ট, পেসমেকার বসানো, অর্থোপেডিক অস্ত্রপচারে কোনও প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে টাকা দেবে রাজ্য সরকার।
বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কী কী সুবিধা?
তবে, শুধুমাত্র NBH বা National Accreditation Board for Hospitals-এর শংসাপত্রপ্রাপ্ত হাসপাতালগুলিতে ওষুধ ও পরীক্ষার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথীর অর্থসাহায্যের পরিমাণ পাঁচগুণ বাড়ানো হয়েছে। এই শংসাপত্র বেশিরভাগ বড় হাসপাতালেই আছে। অভিযোগ ছিল বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের রোগীদের ফিরিয়ে দিত। তাদের দাবি ছিল, ৫ হাজার টাকা অত্যন্ত কম, যা সম্ভব না। তাই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নার্সিংহোমগুলিও এই দামে চিকিৎসা পরিষেবা দিত না। সে কারণেই প্যাকেজের বাইরে থাকা ওষুধ ও ডায়গনস্টিক পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ বাড়ল।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির ভুয়ো বিল নিয়েও কড়া হচ্ছে সরকার। প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালের বিলের ৩০ শতাংশের ‘র্যান্ডম অডিট’ হবে। এর জন্য ২০০ জন চিকিৎসককে নিয়ে দল গড়া হয়েছে। কোনও গরমিল ধরা পড়লেই বিলের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে হাসপাতালকে। সমান অঙ্কের টাকা জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।
বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের জন্য স্টেট এবং ডিস্ট্রিক্ট সার্ভেলেন্স টিম করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল কোনও দুর্নীতি আছে কিনা, তারা তা দেখবে।