West Bengal Dengue Treatment Guideline: রাজ্যে বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গিও। এখনও সে ভাবে ডেঙ্গির দাপট না বাড়লেও, রাজ্যের নানা জেলা থেকে আক্রান্তের খবর ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে প্লেটলেটের ঘাটতি ঠেকাতে আগেভাগে প্রস্তুতি শুরু করে দিল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর। ব্যাঙ্কগুলিতে প্লেটলেটের ঘাটতি ঠেকাতে বিশেষ গাইডলাইন জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলার হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে।
স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ২৭ জেলার ৫৭ ব্লাড ব্যাঙ্কে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধকারিকদেরও কাছেও স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত বছর রাজ্যে ভয়াবহ আকার নিয়েছিল ডেঙ্গি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৭ হাজার ২৭১ জন মানুষ। ডেঙ্গিতে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতরের আশঙ্কা, এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গতবারের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে!
শুধু ডেঙ্গি নয়, সরকারি তথ্য বলছে ম্যালেরিয়াতেও গত বছর ৪০ হাজার ৫৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। অর্থাৎ, ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া মিলিয়ে গত বছরে বাংলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
গত বছর ডেঙ্গি পরিস্থিতি বাংলায় রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি করেছিল। পাশাপাশি, ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়লেই রোগীদের বাঁচাতে অনুচক্রিকা বা প্লেটলেটের চাহিদাও বেড়ে যায়। কারণ, যদি রোগীর রক্তে প্লেটলেট কাউন্ট কমে যায়, সে ক্ষেত্রে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবার আগেভাগেই গাইডলাইন জারি করে দিল স্বাস্থ্য দফতর।
কী বলছে রাজ্যের ডেঙ্গি গাইডলাইন (Dengue Treatment Guideline)?
• রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট ১০,০০০-এর নীচে নেমে গেলে রোগীকে প্লেটলেট দিতে হবে
• যেসব রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট ১০ হাজার থেকে ২০ হাজারের মধ্যে থাকবে, তাদের ক্ষেত্রে রক্তপাত না হলে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
• ডেঙ্গি আক্রান্তের কোন গ্রুপের প্লেটলেট প্রয়োজন, প্রেসক্রিপশনে তা উল্লেখ করতে হবে।