Swasthya Sathi: এবার স্বাস্থ্যসাথীতে AI, চুরি রুখতে একাধিক বদল আনল নবান্ন

দেশজুড়ে সাইবার প্রতারণার ঘটনা বেড়েই চলেছে। লক্ষ-কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতি। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রোগী পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনতে এবং জালিয়াতি ঠেকাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও জিয়ো ট্যাগিংয়ের মতো আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করার ঘোষণা করেছে।

Advertisement
এবার স্বাস্থ্যসাথীতে AI, চুরি রুখতে একাধিক বদল আনল নবান্নswasthya sathi
হাইলাইটস
  • দেশজুড়ে সাইবার প্রতারণার ঘটনা বেড়েই চলেছে।
  • লক্ষ-কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতি।

দেশজুড়ে সাইবার প্রতারণার ঘটনা বেড়েই চলেছে। লক্ষ-কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতি। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রোগী পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনতে এবং জালিয়াতি ঠেকাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও জিয়ো ট্যাগিংয়ের মতো আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করার ঘোষণা করেছে।

এআই ও জিয়ো ট্যাগিং প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করবে?
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিষেবা প্রদানের প্রতিটি ধাপ পর্যবেক্ষণ করা হবে। রোগীর চিকিৎসা কখন শুরু এবং কখন শেষ হচ্ছে, সেই সমস্ত তথ্য ‘জিয়ো ট্যাগিং’-এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসাথী মোবাইল অ্যাপে যুক্ত করা হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এই তথ্য বিশ্লেষণ করে রোগী পরিষেবার সঠিকতা নিশ্চিত করা হবে।

হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—
চিকিৎসার প্রতিটি ধাপে রোগী হাসপাতালে উপস্থিত কি না, তা নির্দিষ্ট সার্ভারে আপলোড করতে হবে।
রোগী পরিষেবা শেষ হলে, নির্ধারিত অ্যাপের মাধ্যমে রোগীর ছবি ও ভিডিও পাঠাতে হবে। জিপিএস লোকেশনের তথ্যও নিশ্চিত করতে হবে। অ্যাপটি শুধুমাত্র হাসপাতালের ৫০ মিটারের মধ্যে কাজ করবে এবং একবার ছবি বা ভিডিও পাঠানো হলে তা আর এডিট করা যাবে না। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাচাই করা হবে এই ছবি বা ভিডিওর প্রামাণ্যতা।

প্রতারণা রোধে কঠোর নির্দেশিকা
সরকার জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে তথ্য বিকৃতি বা জালিয়াতির কোনও ঘটনা ধরা পড়লে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কার্যকর হবে।

কেন এই পদক্ষেপ?
বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ, রোগী পরিষেবার জন্য প্রকৃত তথ্য লুকিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হয়। সাম্প্রতিক ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, কীভাবে সরকারি প্রকল্পের টাকাও তছরুপ করা সম্ভব।

প্রকল্পে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্য
এই নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রকল্পে স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি রাজ্যের নাগরিকদের প্রতি পরিষেবা আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলাই সরকারের লক্ষ্য। এআই প্রযুক্তির ব্যবহার রোগী ও সরকারি সংস্থার মধ্যে সরাসরি সংযোগ না রেখেও পরিষেবার মান নিশ্চিত করবে।

Advertisement


 

POST A COMMENT
Advertisement