তাজপুরের সমুদ্রের ধারে বনদপ্তরের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান-ঘর সরাতে গিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। অভিযোগ উঠেছে, কারামন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি সরাসরি উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দিয়েছেন। বনদপ্তরের আধিকারিক মৌমিতা সাউয়ের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন মন্ত্রী, এমনকি তাঁকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। শনিবার দুপুরে এই ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে উত্তেজনা তৈরি করে।
গোটা ঘটনাটির অভিযোগ করেছে রাজ্য বিজেপি। একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে বিজেপির তরফে। সেখানেই তর্ক করতে দেখা যায় অখিলকে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন' যাচাই করেনি। বনদফতরের দাবি, তাদের জমিতে কিছু দোকান ছিল, যা সমুদ্রের জলে তলিয়ে যায়। কিন্তু শুক্রবার রাতে ব্যবসায়ীরা আবারও নতুন করে সেই জমিতে দোকান তৈরি করেন। বনদফতর যখন এই নির্মাণে বাধা দিতে যায়, তখন মন্ত্রী অখিল গিরি ঘটনাস্থলে এসে উচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় বাধা দেন। আধিকারিকরা অভিযোগ করেন, মন্ত্রী তাদের হুমকি দিয়ে অবৈধ নির্মাণ চালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
West Bengal Minister Akhil Giri threatens a lady Forest Officer because she was performing her duty to remove illegal encroachment in forest areas.
What did he say -
1. "সরকারি কর্মচারী, মাথা নিচু করে কথা বলবেন।" - You are a government employee, bow down your head (infront of… pic.twitter.com/CDrULP9Mliআরও পড়ুন
— BJP West Bengal (@BJP4Bengal) August 3, 2024
অন্যদিকে, মন্ত্রী অখিল গিরির বক্তব্য ভিন্ন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সমুদ্রের ধারে দোকানগুলি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমুদ্রের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় দোকানগুলি সমুদ্রের জলে তলিয়ে যায়। বাঁধ মেরামতের কাজ চলাকালীন এই দোকানগুলি নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রীর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বনদফতরের আধিকারিকরা দোকানের বাঁশের খুঁটি কেটে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। সরকারি জমিতে বেআইনি হকার বসানোর অভিযোগে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তবে এই কাজ করতে গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি কর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। কখনও রাজ্যের শাসকদলের নেতা-কর্মীরা, কখনও মন্ত্রী-বিধায়কেরা এই অভিযানে বাধা সৃষ্টি করছেন।