নদিয়ার তেহট্ট বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা প্রয়াত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। গত মঙ্গলবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি এবং তাঁকে কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক।
তাঁর মৃত্যুতে নদিয়ার জেলা রাজনীতি তো বটেই, রাজ্য রাজনীতিতেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তৃণমূলের চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান জানিয়েছেন, দলের একাধিক জেলা নেতা কলকাতায় প্রয়াত বিধায়কের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছেন। কবে এবং কোথায় তাপস সাহার শেষকৃত্য হবে, তা পরিবার ও দলের সঙ্গে আলোচনার পর স্থির করা হবে।
নদীয়ার তেহট্টের বিধায়ক, আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, শ্রী তাপস সাহা'র অকাল মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি আমার অনেক দিনের পুরাতন সহকর্মী ছিলেন। তাঁর এই মৃত্যু জেলা তথা বাংলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি।
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 15, 2025
আমি তাঁর পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন,…
দলের দীর্ঘদিনের সঙ্গী ছিলেন তাপস সাহা। ২০১১ সালে তেহট্টে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়ে ভোট কেটে ফেলেন, যার ফলে সেই আসনে জয়ী হয় বামপ্রার্থী। দলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর অভিযোগে সাসপেন্ড হলেও পরে তিনি দলীয় কর্মকাণ্ডে ফিরে আসেন এবং ২০১৬ সালে পলাশিপাড়া থেকে এবং ২০২১ সালে তেহট্ট থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন।
তবে গত বছর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর নাম উঠে আসে। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে তিনি কয়েক কোটি টাকা তুলেছিলেন এবং তাঁর কণ্ঠস্বর সিবিআই সংগ্রহও করে।
তেহট্ট কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই কেন্দ্রের আরেক বিধানসভা এলাকা কালীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন। ফলে কালীগঞ্জ ও তেহট্ট— এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।