
ফের দলবদল করলেন হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মন্ডল। ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। এদিন তৃণমূল ভবনে আসেন তাপসী। ছিলেন অরূপ বিশ্বাস। তাঁর উপস্থিতিতেই সাংবাদিক বৈঠকে বসেন তাপসী মন্ডল। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামীও।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সিপিএম থেকে বিজেপি আসেন তাপসী মন্ডল। বিজেপির টিকিটে জেতেনও। তবে, সাম্প্রতিক অতীতে হলদিয়া বন্দরকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দের আবহ তৈরি হয়। তমলুকের বিধায়ক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়াও নাম না করে বলেছিলেন, দলের মধ্যেই একাংশ ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছেন। সেই সময়ে অনেকের মনেই হলদিয়ার বিধায়ককে কেন্দ্র করে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ সমস্ত জল্পনা সত্যি করে দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন তাপসী মন্ডল।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তাপসী বলেন, 'প্রগতিশীল এই বাংলার মাটিতে যেভাবে বিভাজনের রাজনীতি চলছে, মানুষ তা প্রত্যাখান করেছে। কারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলাই আমাদের কাজ। ফলে সেই বিভাজনের রাজনীতি আমার কাছে কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিল। আগের মতোই সেই বিভাজনের রাজনীতি চলছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'তাই এই প্রগতিশীল বাংলাকে রক্ষা করতে, হলদিয়ার শিল্পক্ষেত্র, উদ্বাস্তু এবং বেকার যুবক-যুবতীদের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করতেই আজ আমি মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত হলাম। তাঁর নির্দেশেই আগামিদিনে হলদিয়ার উন্নয়নের জন্য বাংলার সমস্ত স্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই একটি সুন্দরতর বাংলা তৈরি করব।'
সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে তাপসী বলেন, '২০১১ সালে যখন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে, আমি তখন ওখানে কাউন্সিলার ছিলাম। ২০১৬-তে বিধায়ক হই। তাঁর থাকাকালীন আমাকে কোনও কাজ করতে দেননি। এরপর আমি বিজেপি-তে আসি। সেখানেও... কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকা সত্ত্বেও আমাকে কোনও কাজ করতে দেননি। একসঙ্গে হলদিয়ার মানুষকে নিয়ে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করতে দেওয়া হয়নি। হলদিয়ার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা করা হয়েছে।'