Tarakeshwar Child Assault: তারকেশ্বরে মাতাল হয়েই নাতনিকে নৃশংস যৌন নির্যাতন করে দাদু, এখন কেমন আছে সেই শিশু?

গুড়াপের শিশু ধর্ষের ঘটনার মতোই এই মামলারও দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন হুগলির গ্রামীণ পুলিশ সুপার কমানাশিস সেন। ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম তৈরি করা হয়েছে। ধৃত দাদু মত্ত অবস্থায় ৪ বছরের ওই শিশুকে যৌন নিগ্রহ করেছে বলেই অনুমান পুলিশের।

Advertisement
তারকেশ্বরে মাতাল হয়েই নাতনিকে নৃশংস যৌন নির্যাতন করে দাদু, এখন কেমন আছে সেই শিশু?প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • মত্ত অবস্থায় নাতনিতে নিগ্রহ দাদুর?
  • ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম তৈরি করেছে পুলিশ
  • তারকেশ্বরের নির্যাতিতা আপাতত স্থিতিশীল

৪ বছরের শিশুকন্যাকে তারকেশ্বর স্টেশন থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থার ঘটনায় তারই দাদুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, একজনই শারীরিক নিগ্রহ করেছে ওই শিশুকে। হুগলি জেলার গ্রামীণ পুলিশ সুপার কমানাশিস সেন জানিয়েছেন, ৫ জনের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁরা গুড়াপের শিশু ধর্ষণের ঘটনার মতো এই মামলারও দ্রুত নিষ্পত্তি করবে। 

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম থেকেই সন্দেহজনক ছিল শিশুর দাদুর আচরণ। শিশুকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, দাদু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। তাকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। বক্তব্য অসঙ্গতি মেলে তার। তারপরই গ্রেফতার করা হয় দাদুকে। ইতিমধ্যে তারও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান ঘটনার সময়ে মত্ত অবস্থায় ছিল দাদু। তাকে আদালতে পাঠানো হয় কিন্তু বন্ধ থাকায় এক দিনের জন্য জেলে রাখা হয়েছে। সোমবার আদালতে তোলা হলে তার ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের দাবি করা হবে।

পুলিশ সুপার কমানাশিস সেন জানিয়েছেন, এই ঘটনা অত্যন্ত স্পর্শকাতর, অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক। এই ঘটনায় যুক্ত করা হয়েছে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে। জানা গিয়েছে, আপাতত স্থিতিশীল ওই শিশুকন্যা। চন্দননগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। শীঘ্রই তাকে হোমে শিফট করা হতে পারে। 

এদিকে পরিবারের তরফে পুলিশ এবং হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। BJP-র পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। তাদের অভিযোগ, গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া সত্ত্বেও কেন ছেড়ে দেওয়া হয় শিশুকে। অভিযোগ মানতে চায়নি পুলিশ।  কমানাশিস সেন বলেন, 'শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। পরিবার তখন হাসপাতালেই ছিল। পুলিশ দ্রুত মামলাটি হাতে নেয়। তারপর পরিবারের তরফে আলাদা ভাবে মামলা রুজু করা হয়। সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রাথমিক তদন্তের পর আমরা একজনকে গ্রেফতার করি।'

প্রসঙ্গত, তারকেশ্বর স্টেশন চত্বরে পরিবারের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল ওই শিশুকন্যাটি। অভিযোগ, শনিবার ভোরে মশারি কেটে তাকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তার সঙ্গে যৌন নিগ্রহ করা হয়। পরিবার জানায়, ভোর থেকে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘক্ষণ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর শেষমেশ দুপুরে স্টেশন সংলগ্ন একটি ড্রেনের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় শিশুকে। তার যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। গালে কামড়ের ক্ষত ছিল। শরীরের একাধিক অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement