রাত পোহালেই টেট (TET) পরীক্ষা। আজ, শনিবার টেট নিয়ে সাংবাদিক সন্মেলন করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল (Gautam Pal)। সেখানেই বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। গৌতম পালের দাবি, কেউ কেউ পরীক্ষা ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছে বলে পর্ষদ ও প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর রয়েছে। পর্ষদ প্রশাসন সবকিছুই নজরে রাখছে, সতর্ক আছে। কেউ যদি বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেন, আমরা প্রশাসনকে বলব কড়া পদক্ষেপ করতে।
২০১৭ সালের পর এবার টেট হচ্ছে। যা ঠিক ভাবে সম্পন্ন করা প্রশাসনের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে যখন একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে শাসকদলের একাধিক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে। তাই এবারের টেট ত্রুটিমুক্ত রাখতে কোমর বেঁধেছে প্রশাসন। টেট পরীক্ষার ঠিক একদিন আগে ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈঠকে জানান পর্ষদ সভাপতি। গৌতম পাল জানান, ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থী এবার টেটে বসছেন। ১ হাজার ৪৬০টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার্থী সবথেকে বেশি মুর্শিদাবাদ থেকে।
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, 'বোর্ডের কাছে সমস্ত জেলা এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের সমান গুরুত্ব। পর্ষদের সুনির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনেই, গাইডলাইন মেনেই পরীক্ষা হবে । সমস্ত পরীক্ষার্থীকে তা মানতে হবে। বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের পরই ক্লাসরুমে ঢোকার সুযোগ পাওয়া যাবে। টেট সংক্রান্ত বিধি যাতে অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয় তার জন্য সেন্টার ইনচার্জ, অফিস ইনচার্জ, অবজারভার, জেলা প্রশাসনের জেলাশাসক, এডিএম, ডিআইয়ের কাছে আমরা নির্দেশ পাঠিয়েছি।'
তারপরই ওই বিষ্ফোরক অভিযোগ তোলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেন, পর্ষদের কাছে এবং প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর আছে কেউ কেউ এই পরীক্ষা ব্যবস্থা বিঘ্নিত করতে চাইছে। আমি নির্দ্বিধায় বলছি প্রশাসন অবগত আছে। প্রশাসন সতর্ক আছে। তার সঙ্গে পর্ষদও অবগত ও সচেষ্ট। কোনও পরীক্ষার্থী যদি আমাদের পরীক্ষাবিধি ঠিকমতো পালন না করে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে বা বাইরের কোনও ব্যক্তি বিঘ্ন ঘটাতে চান, আমরা প্রশাসনের কাছে কঠোরতম শাস্তির সুপারিশ করব।'
পর্ষদ সভাপতি আরও জানান, কোয়েশ্চন বুকলেট বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা ওএমআর শিটের দু’টো কপি থাকবে। অরিজিনাল কপি বোর্ড নিয়ে নেবে, ক্যান্ডিডেট একটা কপি বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন : টেট পরীক্ষার দোরগোড়ায় ৫০টি পরীক্ষাকেন্দ্র বদল! ব্যপক ভোগান্তির আশঙ্কা প্রার্থীদের