বিশ্বভারতীতে জমি বিবাদ নিয়ে মামলায় স্বস্তি পেলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এই মামলায় নোবেলজয়ীর পক্ষেই বুধবার রায় দিল সিউড়ি জেলা আদালত। জমি ফেরানোর জন্য অমর্ত্যকে নোটিস পাঠিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় বুধবার বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের নির্দেশ সম্বলিত নোটিস খারিজ করে দিল আদালত।
দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নোবেলজয়ীর সঙ্গে বিশ্বভারতীর বিবাদ চলছিল। শেষে সেই বিবাদ আদালতে গড়ায়। বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন বলে নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। গত বছর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ীর বাড়ি 'প্রতীচী'তে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে নোবেলজয়ীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। পরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, 'অমর্ত্যদাকে বিজেপি যেন অপমানের চেষ্টা না করে।' সরকারি নথি দেখিয়ে মমতা দাবি করেছিলেন, অমর্ত্যের বক্তব্য ঠিক। বলেছিলেন, 'আমি ছোট্ট একটা ছক্কা মেরে গেলাম।' কিন্তু তার পরেও অমর্ত্যকে জমি ছাড়তেই হবে, এই দাবিতে অনড় থাকেন বিদ্যুৎ। বুধবার অবশেষে অমর্ত্যের পক্ষেই রায় দিল আদালত।
নোবেলজয়ীকে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্বভারতী। তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, ১৩ ডেসিমেল জায়গা দ্রুত যেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন অমর্ত্য। ওই নোটিস খারিজ করার আর্জি জানিয়ে সিউড়ি জেলা জলের এজলাসে যান নোবেলজয়ীর আইনজীবী। ওই মামলায় বুধবার বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের নির্দেশকে বাতিল করে দিল আদালত। ফলে জমি সংক্রান্ত মামলায় অমর্ত্যের জয় হল বলেই মনে করছেন তাঁর আইনজীবী।
অমর্ত্যের আইনজীবী বিমান চৌধুরী বলেছেন, 'আমাদের আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত। বিশ্বভারতী যে নোটিস দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।' তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বভারতীর বক্তব্য জানা যায়নি।