Bankura Medical College: বাঁকুড়া মেডিক্যালেও 'থ্রেট কালচার'? বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররা

ফের একবার হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগ। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে চেষ্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

Advertisement
বাঁকুড়া মেডিক্যালেও 'থ্রেট কালচার'? বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররাবাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজে সরব জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ।
হাইলাইটস
  • ফের একবার হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগ।
  • ডাঃ অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
  • স্বাস্থ্য দফতর ও ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন (DME)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।

ফের একবার হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগ। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে চেষ্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে হুমকি, মানসিক নিপীড়ন ও কর্তব্যে গাফিলতি রোজকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর ও ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন (DME)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।

ফের 'থ্রেট কালচারে'র অভিযোগ
এই ঘটনায় ফের ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। প্রায় এক বছর আগে, আর.জি. কর মেডিক্যাল কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য। সেই সময় তাঁর পরিবারও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন যে, 'থ্রেট কালচারে'র শিকার হয়েছেন তাঁদের মেয়ে। এরপর শহরের জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ আন্দোলনে নামেন। তখনও বারবার এই থ্রেট কালচার শব্দটি উঠে আসে। এবার বাঁকুড়ায় ফের সেই অভিযোগেই সরব জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। 

জুনিয়র চিকিৎসকদের বিস্ফোরক অভিযোগ
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, ডাঃ অভিজিৎ মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ পরিষেবায় গাফিলতি করেন। বিশেষত ইন্ডোর রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে তিনি ন্যূনতম দায়িত্বও পালন করেন না। শুধু তাই নয়, তাঁদের দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের কাজেও বাধা দেওয়া হয়। এর ফলে পিজিটি ও ইন্টার্নরাও মেডিক্যাল কোর্সের অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি করছেন জুনিয়ররা।
একজন জুনিয়র চিকিৎসক অভিযোগ করেন, 'একজন মহিলা চিকিৎসককেও মানসিকভাবে এতটা হেনস্থা করা হয়েছে যে তাঁকে দীর্ঘদিন সাইকোলজিকাল থেরাপি নিতে হয়েছে।'

‘কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি’
তৃতীয় বর্ষের পিজিটি ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, 'অনেকবার প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। তাই আমাদের আন্দোলনে নামতে হয়েছে। কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার মতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে।'

অন্যদিকে আরও একজন পিজিটি ডাঃ নজরুল মুস্তি বলেন, 'উনি ছ’মাসে একবারও ইন্ডোর পেশেন্ট দেখতে আসেন না। তাঁর গাফিলতিতে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। সব দায়ভার আমাদেরই নিতে হচ্ছে।'

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, তদন্তে কমিটি
জুনিয়র ডাক্তারদের খোলা চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালের সুপার ডাঃ অর্পণ কুমার গোস্বামীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদিও আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের আশঙ্কা, ডাঃ মণ্ডল তাঁর পদমর্যাদার সুযোগ নিয়ে তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। তাই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।

Advertisement

হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু জানিয়েছেন, 'বিভাগীয় তদন্ত চলছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে খুব তাড়াতাড়ি রিপোর্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে পেশ করা হবে।'

প্রশ্নে চিকিৎসা শিক্ষা ও নিরাপত্তা
এই ঘটনার পর ফের আলোচনায় রাজ্যের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রশাসনিক জবাবদিহিতা, শিক্ষার গুণমান এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষা।
এই প্রতিবাদ সামনে এনে দিয়েছে, হুমকি আর নিপীড়নের পরিবেশে কাজ করা কতটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে আগামী প্রজন্মের চিকিৎসকদের জন্য।

POST A COMMENT
Advertisement