এবার 'থ্রেট কালচার'-এর অভিযোগ বিচারকের বিরুদ্ধে। আদালতে বিচারক 'থ্রেট কালচার' চালাচ্ছেন, আইনজীবীরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটুকু পাচ্ছেন না। এই দাবিতে বিক্ষোভে বসলেন আইনজীবীরা। হাতে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' প্ল্যাকার্ড।
বুধবার অর্থাৎ ২০ নভেম্বর ডায়মন্ড হারবার আদালতের প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন ডায়মন্ড হারবার আদালতের আইনজীবীরা। তাঁদের অভিযোগ, আদালতের বিচারকদের বদলির দাবি জানিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন আইনজীবীরা। গত সোমবার থেকে পেন ডাউন কর্মসূচি শুরু হওয়াতে বন্ধ আদালতের কাজ।
এ বিষয়ে আইনজীবী মানস দাস জানান, "দু-তিন ধরে আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলছে। আমরা আইনজীবী। যে কোর্টে আমরা কাজ করি সেই কোর্টেই যদি আমরা সম্মান না পাই, তাহলে আমরা যাদের জন্য মামলা লড়ব তাঁরা এই কোর্টে কী সম্মান পাবে।" তাঁদের আরও দাবি, "সুদীপ হালদারের সঙ্গে যে ব্যবহারটা করা হয়েছে তার বিচার চাই। ওনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।"
প্রসঙ্গত, কোর্ট চত্বরে গাড়ি রাখা নিয়ে সরকারি আইনজীবীকে অপমান করেন বিচারক এই অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার জেরে প্রতিবাদ জানিয়ে কোর্টের কাজকর্মই বন্ধ রাখলেন আইনজীবীরা। অবশ্য এর আগে কোর্টের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নাকি এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও সুবিচার না পেয়েই শেষ পর্যন্ত কর্মবরিতির সিদ্ধান্ত নেনে আইনজীবীরা। এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠবে বলেই আশঙ্কা করছেন সকলে। সোমবার, ১৮ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে কোর্টে। এই ঘটনা ডায়মন্ডহারবার আদালতের।
অভিযোগ, সরকারি আইনজীবী সুদীপ হালদারকে গত ৬ নভেম্বর, কোর্ট চত্বরে গাড়ি রাখা নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেন বিচারক। সে বিষয়ে আদালতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানালেও এ বিষয়ে কোন সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ডায়মন্ডহারবার ক্রিমিনাল ও সিভিল কোর্টের আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়ে আদালতের কাজ বন্ধ রাখেন। আইনজীবীদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত না ঘটনার সুরাহা হবে ততক্ষণ আদালতের কাজ বন্ধ থাকবে।