
Tiger Census: বছরের শুরুতেই বাঘ গণনার তোড়জোড়। আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের অন্তর্গত তিনটি জঙ্গলে শুরু হচ্ছে ব্যাঘ্রশুমারি। গরুমারা ও চাপরামারি অভয়ারণ্যের পাশাপাশি পাহাড়ি নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান জুড়েও চলবে এই গুরুত্বপূর্ণ গণনা।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঘের গতিবিধি নজরে রাখতে এবার ব্যবহার করা হবে শতাধিক ট্র্যাপ ক্যামেরা। বনকর্মীদের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যেই এই শুমারি সম্পন্ন করা হবে। সমতল ও পাহাড় মিলিয়ে বিস্তৃত এই জঙ্গল এলাকায় বাঘের উপস্থিতি ও চলাচলই মূলত খতিয়ে দেখা হবে।
২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, প্রায় ১৫৯.৮৯ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত নেওড়াভ্যালির জঙ্গলে সাতবারের বেশি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এই পাহাড়ি জঙ্গলের সঙ্গে সিকিম, নেপাল ও ভুটানের জঙ্গলের সরাসরি যোগসূত্র থাকায় বাঘের বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে নেওড়াভ্যালি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
বন দফতর জানিয়েছে, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় মাস ধরে চলবে এই ব্যাঘ্রশুমারি। এই সময়ের মধ্যেই বাঘের সংখ্যা, চলাচলের পথ এবং অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
নেওড়াভ্যালিতে প্রথম বাঘের অস্তিত্ব ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে। ওই বছরের ১৯ জানুয়ারি ভোরে লাভা থেকে পেদং যাওয়ার পথে স্থানীয় যুবক আনমোল ছেত্রী নিজের মোবাইল ক্যামেরায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি তুলে বনমহলে আলোড়ন ফেলে দেন।
এরপর বাঘের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নেওড়াভ্যালির বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাপ ক্যামেরা বসায় বন দফতর। তারই ফল হিসেবে ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথমবার সরকারি ভাবে ক্যামেরাবন্দি হয় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ে বাঘের ছবি। মাঝখানে এক বছর দেখা না গেলেও ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর ও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আবারও বাঘের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
২০২৪ সালেও একাধিকবার নেওড়াভ্যালির জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ধরা পড়েছে। ফলে নতুন বছরের শুরুতেই এই অঞ্চলে ব্যাঘ্রশুমারি ঘিরে বাড়ছে কৌতূহল ও উত্তেজনা।