Tigress Zeenat: 'শ্যাডো জোনে' বাঘিনী জিনাত, কীরকম? বাংলা সহ ৩ রাজ্যের বন দফতর দুশ্চিন্তায়

ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশা হয়ে বাংলায় প্রবেশ করা বাঘিনী জিনাতের তল্লাশি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। একাধিকবার অবস্থান পরিবর্তন করে বর্তমানে পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড় ও সংলগ্ন কুইলাপাল জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে এই ধূর্ত শ্বাপদ। গত রবিবার পর্যন্ত রেডিও কলারের মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করা গেলেও বর্তমানে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বন দফতরের ভাষায়, জিনাত এখন ‘শ্যাডো জোনে’।

Advertisement
 'শ্যাডো জোনে' বাঘিনী জিনাত, কীরকম? বাংলা সহ ৩ রাজ্যের বন দফতর দুশ্চিন্তায়বাঘিনী জিনাতের তল্লাশি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশা হয়ে বাংলায় প্রবেশ করা বাঘিনী জিনাতের তল্লাশি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে।
  • একাধিকবার অবস্থান পরিবর্তন করে বর্তমানে পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড় ও সংলগ্ন কুইলাপাল জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে এই ধূর্ত শ্বাপদ।

ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশা হয়ে বাংলায় প্রবেশ করা বাঘিনী জিনাতের তল্লাশি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। একাধিকবার অবস্থান পরিবর্তন করে বর্তমানে পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড় ও সংলগ্ন কুইলাপাল জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে এই ধূর্ত শ্বাপদ। গত রবিবার পর্যন্ত রেডিও কলারের মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করা গেলেও বর্তমানে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বন দফতরের ভাষায়, জিনাত এখন ‘শ্যাডো জোনে’।

সতর্ক গ্রামবাসী এবং টোপ পাতা ফাঁদ
বন দফতরের কর্মীরা জিনাতকে ধরার জন্য দিনরাত এক করে কাজ করছেন। তাকে ফাঁদে ফেলার জন্য ছাগলকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে সমতল এলাকায় একটি খাঁচা পাতা হয়েছে। তবে এখনও সেই ফাঁদে পা দেয়নি বাঘিনী। গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, এবং জঙ্গলের আশপাশের এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি জঙ্গলের রাস্তায় যাতায়াত এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকে।

তিন রাজ্যের বন দফতরের যৌথ অভিযান
বাংলা, ঝাড়খন্ড, এবং ওড়িশার বন কর্মীরা একত্রিত হয়ে এই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন। রেডিও কলার ট্র্যাকার এন্টেনা নিয়ে ৬টি বিশেষ টিম ময়ুরঝর্ণা, কাঁকড়াঝোড়, এবং রাইকা পাহাড় অঞ্চলে তল্লাশি চালাচ্ছে। বাঘিনীকে খুঁজে বের করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞ বনকর্মীদের ব্যবহার করা হচ্ছে।

বন দফতরের আশ্বাস
বন দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাঘিনীকে ধরার জন্য তারা কোনো ত্রুটি রাখছেন না। তবে জিনাতের বর্তমান অবস্থান অনির্ধারিত হওয়ায় তার গতিবিধি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। তাকে ধরার পাশাপাশি তাকে সুরক্ষিত রাখার বিষয়েও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

গ্রামবাসীদের উদ্বেগ এবং বন দফতরের প্রচেষ্টা
জিনাতের এই অজ্ঞাত গতিবিধির ফলে রাইকা পাহাড় এবং কুইলাপাল অঞ্চলের গ্রামবাসীরা ভীষণভাবে আতঙ্কিত। যদিও বন দফতরের কর্মীরা আশ্বাস দিয়েছেন যে, তাঁরা সমস্ত রকম সতর্কতা অবলম্বন করছেন। গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাঘিনীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement