তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী। রাজ্য সম্পাদকের পদে তাঁকে নিযুক্ত করল ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শঙ্কর মালাকারকে রাজ্য সহ-সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন করে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। এক সময়ে এই কাশেম সিদ্দিকীকেই তৃণমূল বিরোধী মনে করা হত। তাঁর সঙ্গে CPM-এর ঘনিষ্ঠতাও এর আগে প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে সমীকরণ। ২০২১ সালে যখন ISF তৈরি হয় সেই সময়েও তিনি আব্বাস ও নওশাদ সিদ্দিকীর পাশে ছিলেন। এমনকি, নওশাদ গ্রেফতার হওয়ার সময় তিনি রাজ্য সরকারের সমালোচনাও করেছিলেন।
অন্যদিকে ফুরফুরা শরিফের আরেক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী বর্তমানে ভাঙড় থেকে নির্বাচিত বিধায়ক। তিনি বাম ও কংগ্রেসের জোটে ভর করে ISF-এর হয়ে লড়েছেন।
কিন্তু গত মার্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ফুরফুরা শরিফে যান, সেখানে কাশেম সিদ্দিকীকে তাঁর পাশে দেখা যায়। ছিলেন না নওশাদ ও আব্বাস।
AITC under the guidance and inspiration of Hon’ble Chairperson Smt. @MamataOfficial is pleased to announce an addendum to the list of new District Presidents & Chairpersons in the state of West Bengal. pic.twitter.com/rGHkUTnA33
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) June 9, 2025
ইফতারের পরদিনও কাশেমকে মমতার সঙ্গেই পার্ক সার্কাসের ইফতার আসরে দেখা যায়। এই দুই দৃশ্যের পর থেকেই জোর গুঞ্জন শুরু হয় — তৃণমূল কি এবার কাশেম সিদ্দিকীকে সামনে রেখে ফুরফুরার সঙ্গে নতুন সমীকরণ তৈরির চেষ্টা করছে?
শুধু তাই নয়, বর্তমানে অনেকের জল্পনা, নওশাদের বিরুদ্ধেই কি আগামিদিনে কাশেম প্রার্থী হতে পারেন? সব মিলিয়ে তুঙ্গে জল্পনা।
এই বিষয়ে এখনও যদিও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে যে তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ফুরফুরা শরিফের প্রভাবকেই হয় তো কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল। কাশেম সিদ্দিকীর মতো মুখ সেই লক্ষ্য অর্জনের চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারেন।