বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে কীর্তি বনাম দিলীপ ঘোষের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যাবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে। নিজের গড় মেদিনীপুরের আসন পরিবর্তনে যেখান থেকে লড়বেন, সেখান থেকে জেতার দাবি করেন দিলীপ। এদিকে তাঁকে পাল্টা নিশানা করে 'শূন্য রানে আউট করে বাড়ি পাঠাবেন' চ্যালেঞ্জ দেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কীর্তি আজাদ।
সোমবার বসন্তোৎসবে শামিন হন কীর্তি আজাদ। দিলীপকে আক্রমণ করে কীর্তি বলেন, "উনি দু’বারের সাংসদ। আমি কিন্তু তিন বারের সাংসদ ছিলাম। ওঁকে শূন্য রানে আউট করে বাড়ি পাঠাবে এখানকার তৃণমূলের কর্মীরাই।" জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, "বিহারের বাসিন্দা কীর্তি তৃণমূল সম্পর্কে কিছুই জানেন না। বর্ধমান জেলা সম্পর্কেও তিনি অনভিজ্ঞ। উনি তৃণমূলও জানেন না। বর্ধমানও জানেন না"
দিলীপ ঘোষ তাঁকে 'বহিরাগত' বলে কটাক্ষ করলে, তারও জবাব দেন কীর্তি। বলেন, "গুজরাতের বাসিন্দা হয়েও উত্তরপ্রদেশের বেনারস থেকে দাঁড়িয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তারপরও তিনি প্রধানমন্ত্রী। আমি তো দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছি। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি।" এ-ও বলেন, "বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই ৯৯ শতাংশ জিতে গিয়েছে। এক শতাংশ তো সময়ের অপেক্ষা।"
নিজের গড় মেদিনীপুর আসন পরিবর্তনের পর দিলীপ দাবি করেছিলেন "দলের মনে হয়েছে আসনটি শক্ত তাই আমায় পাঠিয়েছে।" রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি এ-ও বলেছিলেন, 'কার কেন্দ্র কোথায়? যেখান থেকে আমি লড়ব, সেটাই আমার কেন্দ্র, সেখান থেকেই জিতব। পার্টি এটা জানে। তাই পার্টির প্রয়োজনে আমি ওখানে গেছি। ভারতীয় জনতা পার্টিকে আমি গ্রামেগঞ্জে নিয়ে গেছি। পার্টি আমাকে নির্বাচন লড়তে বলেছে, আমি লড়েছি। এখন যেখানে বলেছে সেখান থেকে লড়ছি। আজকে সারা পশ্চিমবাংলায় যে কোনও আসনে আমরা জিততে পারি। আর সেটা দেখিয়েছি করে। এবারও সেটা হবে। তাই পার্টির যখন যাকে মনে হয়েছে যেখানে প্রজেক্ট করার, তাঁকে সেখানে দিয়েছে। সমস্ত কর্মীরা, সমস্ত প্রার্থীরা নরেন্দ্র মোদীকে জেতানোর জন্য লড়াই করবেন। পশ্চিমবঙ্গের জনতা সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে, বিজেপিকে জেতাবার জন্য।' কার্যত তিনিও স্বীকার করে নেন, লড়াইয়ের ময়দান 'শক্ত'।