Fake Voter Allegations: একই TMC কাউন্সিলরের নাম দুই জায়গায় ভোটার লিস্টে, ভূতুড়ে কাণ্ড চাকদায়

ভুতুড়ে ভোটার চিহ্নিত করতে যখন পথে নেমেছে তৃণমূল। এদিকে তৃণমূলেরই কাউন্সিলরের নাম দু'টি আলাদা-আলাদা পৌরসভায়। রানাঘাট এবং চাকদহ পৌরসভার দুই জায়গার ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলরের। ঘটনা জানাজানি হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের দাবি, অবিলম্বে ওই কাউন্সিলরের পদ বাতিল করতে হবে।

Advertisement
একই TMC কাউন্সিলরের নাম দুই জায়গায় ভোটার লিস্টে, ভূতুড়ে কাণ্ড চাকদায়

ভুতুড়ে ভোটার চিহ্নিত করতে যখন পথে নেমেছে তৃণমূল। এদিকে তৃণমূলেরই কাউন্সিলরের নাম দু'টি আলাদা-আলাদা পৌরসভায়। রানাঘাট এবং চাকদহ পৌরসভার দুই জায়গার ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলরের। ঘটনা জানাজানি হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের দাবি, অবিলম্বে ওই কাউন্সিলরের পদ বাতিল করতে হবে। চাকদহ পৌরসভার অন্তর্গত দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যজিৎ বিশ্বাস ওরফে সাধন। তাঁর চাকদহ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে বিগত ১০ বছর ধরে রানাঘাট পৌরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার লিস্টেও পরিবার-সহ তাঁর নাম রয়েছে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রশ্ন উঠেছে কী করে একজন ব্যক্তির নাম দু'টি পৌরসভায় বিগত ১০ বছর ধরে রয়ে গেল। তাও আবার একজন কাউন্সিলরের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তির। এরপরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। 

এ বিষয়ে চাকদহ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ দাবি করেন, 'তৃণমূলের এই কাউন্সিলর বিগত ১০ বছর ধরে দুই জায়গায় ভোট দিয়ে চলেছেন। তৃণমূল এভাবেই ভয়ংকর কারচুপি করে ভোটে জয়লাভ করছে। আমরা ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছি এবং ১৬ হাজার ভোটার লিস্টের নাম জমা দিয়েছি। এর বাইরেও এরকম অনেক নাম রয়েছে। সেগুলি বাতিল করে নতুন করে ভোটার লিস্ট বের করতে হবে।' তাঁর দাবি, 'অবিলম্বে ওই কাউন্সিলরের পদ বাতিল করে পুনরায় সেখানে ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে।'

রানাঘাট বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী বলেন, '১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এরকম তৃণমূলের ভুতুড়ে ভোটার অনেক রয়েছে। রানাঘাট পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডে নাম রয়েছে হিজুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের। তৃণমূলের ভুতুড়ে ভোটার ধরতে যাওয়ায় একদিকে ভালোই হয়েছে।' 

এ বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত রানাঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান কুশল দেব ব্যানার্জী বলেন, 'দুই জায়গায় ভোটার লিস্টে নাম থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। আমরা এটাও দেখেছি যে, বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নামও দুই জায়গায় রয়েছে। এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের গাফিলতি। আমরাই চাই স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রকাশ হোক।'

Advertisement

অন্যদিকে বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে চাকদহ পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবব্রত নাগ বলেন, 'তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যজিৎ বিশ্বাসের ভোটার তালিকায় নাম থাকবে কি না থাকবে সেটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। আর নির্বাচন কমিশন নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এটা সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতি।'

এই ঘটনায় সত্যজিৎ বিশ্বাস ওরফে সাধন বিশ্বাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি।

POST A COMMENT
Advertisement