scorecardresearch
 

রাজ্যে তৃণমূল শত্রু, বাইরে বিজেপি, বিমান বসুর বার্তা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য

জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপিকে রুখতে যে কোনও দলের সঙ্গে জোট করতে রাজি বামফ্রন্ট। তবে পশ্চিমবঙ্গে নয়। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলই যে পয়লা ননম্বর শত্রু তা পরিষ্কার করে দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।

Advertisement
বিমান বসু বিমান বসু
হাইলাইটস
  • রাজ্যের বাইরে বিজেপির বিরুদ্ধে সবার সঙ্গে জোট
  • রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই থাকবেন
  • বামেদের গুরুত্ব দিচ্ছে না অন্য দলগুলি

জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি(Bjp)র বিরুদ্ধে তৃণমূল(Tmc) সহ সব দলের সাথে জোট করবে বামফ্রন্ট(Left)। তবে পশ্চিমবঙ্গে নয়। শনিবার মধ্যমগ্রামে বামেদের একটি রক্তদান শিবিরে এসে একথা বললেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান(Chairman) বিমান বসু(Biman Basu)। 

পশ্চিমবঙ্গে সুর নরম

বিমান বসু জানান "আমি বারে বারে বলছি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কোচ থেকে কোহিমা আমাদের বিশাল ভারত। সেখানে যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইবে, তাদের সাথে আমরা আছি। তবে পশ্চিমবঙ্গের বিষয়টা আলাদা।" 

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলই শত্রু

তবে কেবল বিমান বসুই নয়, সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও বিজেপিকে উৎখাত করতে ধর্মনিরপেক্ষ সব দলগুলোকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। যদিও পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে তেমন কোনও ইতিবাচক ইঙ্গিত তিনি দেননি। 

সিপিএম নিয়ে সতর্ক নওসাদ

অন্যদিকে নওসাদ সিদ্দিকি জানান "সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কাকে সমর্থন জানাব বা আলাদা করে যাব কি না, সে ব্যাপারে দলে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সামনে আরও একাধিক নির্বাচন আছে, সেগুলোর দিকে আমাদের লক্ষ্য আছে। সেই ফলাফলের উপর নির্ভর করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে সিপিআইএম একটি বড় রাজনৈতিক দল, তাদের নিজস্বতা আছে। সর্বভারতীয় স্তরে সংযুক্তা মোর্চার যে কোনও শরিক দলই তাদের নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি

যদিও বামেদের এই দাবির বিপক্ষে এ রাজ্যে শত্রু বাইরে বন্ধু তৃণমূলের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে মনে করা হচ্ছে তৃণমূল এখন বামেদের প্রতি আগের চেয়ে অনেক নরম। কারণ বামেদের তরফ থেকে কোনও রকম রাজনৈতিক ক্ষতি তাঁরা অনুভব করছেন না। তা ছাড়া কংগ্রেসের সঙ্গে বামেরাও এবারের বিধানসভায় একেবারে মুছে গিয়েছে। ফলে ঘুরে দাঁড়াতে অনেক সময় লাগবে বলেই তাঁদের ধারণা।

বিজেপিও তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না

Advertisement

অন্যদিকে বিজেপি অবশ্য বামেদের এই দাবিকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছে না। আসলে সর্বভারতীয় স্তরে বামেদের গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। ফলে তাঁদের বার্তা খুব একটা ভাবাচ্ছে না গেরুয়া শিবিরকেও। আগামী আরও কিছুদিনে বোঝা যাবে জাতীয় রাজনীতিতে বামেদের কতটা গুরুত্বি দিচ্ছে বিরোধীরা। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে সদ্ভাব থাকছে এটা পরিষ্কার।

 

Advertisement