scorecardresearch
 

Arabul Islam at Bhangar: 'মারপিটের দরকার নেই,' হঠাত্‍ আরাবুলের শান্তি-বার্তা, ওদিকে মনোনয়নেই অশান্ত ভাঙড়

এমনিতেই ভাঙড়ে রাজনৈতিক অশান্তি লেগেই থাকে। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে আশঙ্কা এমনটাই। আর এর মাঝেই হঠাৎ করে শান্তির বার্তা দিতে দেখা গেল ভাঙড়ের বিতর্কিত তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে।

Advertisement
'আমি বলেছি মারপিটের দরকার নেই', বলছেন আরাবুল 'আমি বলেছি মারপিটের দরকার নেই', বলছেন আরাবুল

গত সপ্তাহেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষনা করা হয়েছে। আর তারপরেই নতুন করে উত্তপ্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে ভাঙড় এলাকায়। আর এর মাঝেই ঘটেছে দলবদল । ভাঙড়ে ১০০ জন আইএসএফ কর্মী যোগ দিয়েছেন  তৃণমূল কংগ্রেসে। তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামদের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন ওই আইএসএফ কর্মীরা। রবিবার ভাঙড়ের কাঁঠালিয়ার একটি কর্মিসভায় ঘটে এই দলবদল। এমনিতেই ভাঙড়ে রাজনৈতিক অশান্তি লেগেই থাকে। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে আশঙ্কা এমনটাই। আর এর মাঝেই হঠাৎ করে শান্তির বার্তা দিতে দেখা গেল ভাঙড়ের বিতর্কিত তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে।

প্রসঙ্গত ভাঙড় এলাকায়া তৃণমূল-আইএসএফ বিবাদের প্রায়শই খবর পাওয়া যায়। আর এই নিয়ে 'গরমাগরম' বক্তব্য জন্য সংবাদ শিরোনামে থাকেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল। কখনও আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির 'পিঠের চামড়া' তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় তাঁকে , কখনও হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন, আরাবুলকে এভাবেই দেখতে অভ্যস্ত বঙ্গবাসী। কিন্তু ভোট ঘোষণা হতেই সেই আরাবুলের মুখে এবার  শোনা গেল অন্য সুর। অশান্তির ক্ষেত্র ছেড়ে এবার শান্তির বার্তা দিতে দেখা গেল তাঁকে। 

ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম দলীয় কর্মীদের বলেছেন , ভোটের জন্য মারপিট করার কোনও দরকার নেই। দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ে যেন কোনও অশান্তি না হয়। ভাঙড়ের মাঝেরহাট গ্রাম তৃণমূলের দেওয়াল দখল করার অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্দে।  প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন তোলাকে  ঘিরে শনিবারই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ভাঙড়ে। গর্জে উঠেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। কাঠগোড়ায় তুলেছিলেন তৃণমূলকে। অভিযোগের আঙুল ছিল আরাবুল-কাইজার বাহিনীর দিকে। এর ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভাঙড়ের মাঝেরহাট গ্রামে তৃণমূলের দেওয়াল জোর করে আইএসএফের বিরুদ্ধে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।  মনে করা হয়েছিল এই ঘটনাকে নিয়ে ফের তৃণমূল-আইএসএফ দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছবে। যদিও সেই আশঙ্কা এখনও পর্যন্ত সত্যি হয়নি। মনে করা হচ্ছে এই সৌজন্যের  পিছনে রয়েছেন আরাবুল ইসলাম। দলীয়  কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরাবুল বার্তা  দিয়েছেন, ‘কয়েকটা দেওয়াল লিখন করে আইএসএফ খুশি থাকলে করুক। আমি বলেছি মারপিটের দরকার নেই। দেওয়াল লিখন নিয়ে ভাঙড়ে কোনও অশান্তির দরকার নেই।’

আরও পড়ুন

Advertisement

তবে আরাবুলের নির্দেশ সত্বেও যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ভাঙড়  দু'নম্বর ব্লক চত্বর। মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে জুজুধান দুই পক্ষই মুখোমুখি। একদিকে যখন জমি কমিটির সদস্যরা নমিনেশন দেওয়ার জন্য আসছিল সেই সময় তাদের সামনে দাঁড়িয়েই তাদের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে  তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের পাস কাটিয়েই কাঁঠালিয়া পর্যন্ত জমি কমিটির সদস্যরা আসে। এরপর তারা বিডিও অফিসের ভিতরে যাবে। কিন্তু প্রচুর মানুষ থাকায় জমি কমিটির যারা নমিনেশন করবে তাদের কে শুধুমাত্র যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। তাই কিছুক্ষণের জন্য তাদেরকে আটকে রাখা হয়। বিগত ভোটে এই কাঁঠালিয়াতে জমি কমিটিকে আটকানোর পরে বিডিও অফিসের ভিতরে নমিনেশন দিতে গিয়েছিল। ভিতরে তাদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। 
 

Advertisement