পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে প্রকাশ্যে এক প্রবীণ বামপন্থী নেতাকে রাস্তায় ফেলে মারধর এবং গায়ে কালি লাগানোর ঘটনায় প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলের বিরুদ্ধে দলীয় স্তরেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। দল থেকে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে এবং দলের তরফেই খড়গপুর টাউন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বেবি কোলেকে শোকজ চিঠি পাঠিয়ে জানান, তাঁর কৃতকর্ম দলবিরোধী এবং দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। চিঠিতে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ করেছেন সুজয়।
ঘটনার সূত্রপাত খড়গপুরের খরিদা এলাকায়। অভিযোগ, প্রবীণ বাম নেতা অনিল দাসকে প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে একাধিকবার মারধর করা হয়। তাঁর গায়ে রং ঢেলে, জুতো দিয়ে মারার দৃশ্য একটি ভিডিওতেও ধরা পড়ে, যা ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন।'
অভিযোগ, স্থানীয় এক মহিলার শৌচালয়ের দেওয়াল ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন অনিল দাস। তিনি সেই মহিলাকে নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। এরপরই বেবি কোলের নেতৃত্বে তাঁর উপর হামলা হয় বলে দাবি অনিলের। আত্মরক্ষার্থে তিনি একটি দোকানে ঢুকে পড়লেও সেখান থেকে টেনে বের করে ফের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে দল কোনও ভাবেই যুক্ত নয় এবং দল একে সমর্থন করে না। সেই কারণে বেবি কোলেকে শোকজ করার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
সুজয় হাজরার শোকজ চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনি যেভাবে প্রকাশ্যে রাস্তায় একজন প্রবীণ নাগরিককে হেনস্থা করেছেন, তা দলের ভাবমূর্তিতে গুরুতর আঘাত করেছে। ইতিমধ্যেই আপনার বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু হয়েছে।’