আন্দোলনের ১০০০-তম দিনে এসএলএসটি-র প্রার্থীরা। ৫,৫৭৮ জনের হকের চাকরি মেলেনি। শনিবার চাকরির দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ হয় আরও তীব্র। মাথা মুড়িয়ে ফেলেন এক মহিলা সহ আরও প্রার্থীরা। আন্দোলন যখন মধ্য গগনে, হাজির হন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আন্দোলন মঞ্চে হাজির হতেই কুণাল ঘোষের দিকে উড়ে আসে এক পাটি জুতো।
যদিও তারপরেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন কুণাল। তিনি সেখানে উপস্থিত হতেই তাঁকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। ওঠে 'চোর-চোর' স্লোগান। এরপর সেখানে বলে পরে প্রাপ্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। বলেন, "আলোচনা থেকে সমাধানের পথ আসে। আন্দোলন তো পালিয়ে যাচ্ছে না। গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন করার অধিকার সবার রয়েছে।" এরপর তৎক্ষণাৎ সেখান থেকেই ফোন করেন শিক্ষামন্ত্রীকে।
এরপর বলেন, সোমবার দুপুর ৩টের সময় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলাবেন। আন্দোলনকারীদের ৭ জন সদস্য সেখানে যাবেন। কুণাল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীও চান জট কাটুক। আমরা চাই জটিলতা কাটাতে। অভিষেকও তাই চায়। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি খুব ভাল রেসপন্ড করেছে। এই জট আঁকসির মতো আটকে আছে। পাপ যদি কেউ করে থাকে, তাহলে প্রায়শ্চিত্ত সেই সরকার করবে।"
শনিবার ধর্মতলার গাঁন্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না দিচ্ছিলেন প্রার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সহ একাধিক সরকারি প্রতিশ্রুতির পরেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। শেষ পর্যন্ত এর তীব্র প্রতিবাদে মাথা কামিয়ে ন্যাড়া হয়ে যান এক মহিলা এসএলএসটি প্রার্থী। এরপর পুরুষ প্রার্থীরাও ঠান্ডায় খালি গায়ে মাথা কামিয়ে ফেলেন। আর কবে মিলবে চাকরি? এই প্রশ্নই করতে থাকেন তাঁরা। এমএ-বিএড পাশ করে, চাকরির পরীক্ষায় পাশও করেছেন। তারপরও চাকরি এখনও মেলেনি। প্রত্যেকের নিয়োগের দাবি করেন তাঁরা।