
খড়গপুর শহরে প্রকাশ্যে এক সিপিএম নেতাকে জুতো দিয়ে মারধরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। আজ, সোমবার সকালবেলায় এই ঘটনাটি ঘটে শহরের বাজার এলাকায়। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি অনিল দাস, যিনি একজন প্রবীণ সিপিএম নেতা। এবং খড়গপুর শহরে বহুদিন ধরেই বিভিন্ন সামাজিক ও গণআন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের এক ভাড়াটে দম্পতি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে শর্মা নিয়মিতভাবে তাঁদের হেনস্থা করেন। এই অবস্থায় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে অনিল দাস থানায় অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন। সেই কারণেই, সোমবার সকালে বাজারে বের হলে বেবি কোলে শর্মা ও তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনিল দাসকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় এবং এরপর তাঁকে জুতো দিয়ে মারধর করা হয়। আশপাশে প্রচুর লোক থাকলেও, তৃণমূল নেত্রীর ভয়ে কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। পরে তিনি কোনওভাবে একটি দোকানে আশ্রয় নেন। কিন্তু অভিযুক্তরা সেখানেও ঢুকে তাঁকে মারধর করে এবং দোকানে থাকা রঙ ও কালি তাঁর গায়ে ঢেলে দেয়। শুধু শারীরিকভাবেই নয়, অপমানজনক কায়দায় তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহত অবস্থায় অনিল দাস খড়গপুর টাউন থানায় হাজির হয়ে ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনায় বামপন্থী শিবিরে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সিপিএমের একাধিক নেতা প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করেন।
অন্যদিকে, তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে শর্মার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, 'এই ধরনের আচরণ একেবারেই দল সমর্থন করে না। বেবি কোলে শর্মা এবং যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।'