scorecardresearch
 

নন্দীগ্রাম ও মালদায় জোড়া ধাক্কা TMC-র, দুর্নীতি ইস্যুর প্রভাব?

নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে ১২টির মধ্যে ১১টি আসনই দখল করেছে গেরুয়া ব্রিগেড। একটি আসনে জিতে কোনওরকমে মুখ রক্ষা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। অন্যদিকে আবার মালদার (Malda) রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের শ্রীপুর জিএসএ হাই মাদ্রাসার নির্বাচনে ৬টির মধ্যে সবক'টি আসনই দখল করেছে বাম-কংগ্রেস জোট। খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তৃণমূলকে।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • নন্দীগ্রামে পরাজয় তৃণমূলের
  • মালদাতেও হার শাসকদলের
  • নেপথ্যে কী কারণ?

রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) সমবায় নির্বাচন এবং মামলার হাই মাদ্রাসা ভোটে জয় পেয়েছে বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোট। দু'জায়গাতেই ব্যর্থ হতে হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে ১২টির মধ্যে ১১টি আসনই দখল করেছে গেরুয়া ব্রিগেড। একটি আসনে জিতে কোনওরকমে মুখ রক্ষা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। অন্যদিকে আবার মালদার (Malda) রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের শ্রীপুর জিএসএ হাই মাদ্রাসার নির্বাচনে ৬টির মধ্যে সবক'টি আসনই দখল করেছে বাম-কংগ্রেস জোট। খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তৃণমূলকে। আর এখানেই কেউ কেউ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছেন, তবে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অনুব্রত মণ্ডলের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও তাঁদের গ্রেফতারির প্রতিফলনই পড়তে শুরু করলো ভোট বাক্সে? 

'পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল হারবে'

এক্ষেত্রে নন্দীগ্রামের সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয় প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, 'নন্দীগ্রামের মানুষকে অপমান করা হয়েছে। কারণ নন্দীগ্রামের মানুষ বিজেপি প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছিলেন। সেই প্রার্থীকে বলা হয়েছিল অন্ধকারে ভোট জিতেছে। ধারাবাহিকভাবে তাঁদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে কুৎসা প্রচার, শারীরিকভাবে আক্রমণ, গাড়ি ভাঙচুর, এবং সর্বোপরি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি মানুষের ক্ষোভ চূড়ান্ত আকারে পৌঁছে গিয়েছে। প্রান্তিক মানুষের এই ভোট প্রমাণ করে দিল পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল হারবে।' 

'তৃণমূলের ওপরে মানুষের বিতৃষ্ণা বাড়ছে'

অন্যদিকে মালদার হাই মাদ্রাসায় জয় প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, 'যেভাবে আমাদের রাজ্যে সরকার চলছে বা তৃণমূল চলছে, সেটা মানুষ অপছন্দ করছেন। কোনও না কোনও সময় ভেবেছিল দিল্লিতে বিজেপির সরকার আছে, তাকে আঁকড়ে ধরলে যদি খানিকটা সুরাহা পাওয়া যায়। কিন্তু মানুষ বুঝেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি কখনও বিশ্বাসযোগ্য ভরসাযোগ্য শক্তি নয়, হতে পারেও না। তৃণমূলের ওপরে মানুষের বিতৃষ্ণা ক্রমশ বাড়ছে, বিরক্তি বাড়ছে, তারই প্রতিফলন ঘটছে।' 

Advertisement

বাম-বিজেপির দাবি খারিজ

যদিও শমিক ভট্টাচার্য ও সুজন চক্রবর্তীর এই দাবি একেবারেই মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। তিনি বলেন, 'একেবারেই না, নন্দীগ্রামে যেখানে নির্বাচন হয়েছে সেখানে শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ফলাফল খারাপ হয়েছিল। এছাড়া সমবায় নির্বাচনে ক্যান্ডিডেট প্যানেলের ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। এগুলো দলের আত্মসমীক্ষা, দল অবশ্যই করবে। কিন্তু এর সঙ্গে সামগ্রিক কোনও ব্যাপার নয়। কারণ ক'দিন আগেই নন্দীগ্রামের আরেকটি সমবায় নির্বাচনে ৫২টার মধ্যে ৫১টা আসন আমরা জিতেছি। একটা সিপিএম জিতেছে। বিজেপি একটাও পায়নি। ওটাও নন্দীগ্রামের ফল, এটাও নন্দীগ্রামের ফল। ওটাও পার্থ-অনুব্রত ইস্যুর পর, এটাও পার্থ-অনুব্রত ইস্যুর পর। তাই স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় ফ্যাক্টর থাকে। আমরা মেরামতের চেষ্টা করছি।' অন্যদিকে মালদার ফলাফল প্রসঙ্গে দেবাংশু বলেন, 'মালদাতেও আমরা সবক'টা আসন পাইনি। মালদায় বহু আসন আছে যেখানে বিজেপি জিতেছিল। আমরা জানি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভোটটা বাম ও কংগ্রেসের। তাই বিজেপি যখন বাংলায় মাটি হারাচ্ছে তখন কিছু কিছু জায়গায় তারা বামেদের ফিরিয়ে দিচ্ছে।' তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেই দাবি করেন দেবাংশু। যদিও তৃণমলের এই দাবি কতটা বাস্তাবায়িত হয়, তা অবশ্য সময় বলবে। 

আরও পড়ুন'পুলিশের কাজ পুলিশকে করতে দিতে হবে,' অর্জুনের পর এবার তাপসও


 

Advertisement