Humayun Kabir: বাবরি মসজিদের শিলান্যাস নিয়ে কী প্ল্যান TMC-র হুমায়ুনের? বিস্তারিত শুনল bangla.aajtak.in

মুর্শিদাবাদে আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করার ঘোষণা ঘিরে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ঘোষণার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা বাড়ায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস হুমায়ুন কবীরকে ‘প্রিভেনটিভ অ্যারেস্ট’-এর নির্দেশ দিতে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে সূত্রে খবর।

Advertisement
বাবরি মসজিদের শিলান্যাস নিয়ে কী প্ল্যান TMC-র হুমায়ুনের? বিস্তারিত শুনল bangla.aajtak.inতৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির।-গ্রাফিক্স: শুভঙ্কর মিত্র
হাইলাইটস
  • মুর্শিদাবাদে আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করার ঘোষণা ঘিরে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।
  • ঘোষণার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা বাড়ায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস হুমায়ুন কবীরকে ‘প্রিভেনটিভ অ্যারেস্ট’-এর নির্দেশ দিতে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে সূত্রে খবর।

মুর্শিদাবাদে আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করার ঘোষণা ঘিরে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ঘোষণার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা বাড়ায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস হুমায়ুন কবীরকে ‘প্রিভেনটিভ অ্যারেস্ট’-এর নির্দেশ দিতে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে সূত্রে খবর। তাঁর দাবি, হুমায়ুনের বক্তব্য ও ঘোষিত কর্মসূচি পরিস্থিতিকে উত্তেজিত করতে পারে, তাই আগাম ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। রাজ্য প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে তিনি নিজেই পদক্ষেপ করবেন বলেও সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল।

হুমায়ুনকে আগাম গ্রেফতার?
বিষয়টিতে ফোনে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, 'রাজ্যপালের আশঙ্কা সম্পূর্ণ অমূলক। তিনি নির্বাচিত নন, তাই নিজের সাংবিধানিক সীমার মধ্যে থাকাই উচিত। রাজ্যে নির্বাচিত সরকার আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তাদের, রাজ্যপালের নয়। তিনি আরএসএস-এর হয়ে কাজ করছেন।'

বাবরির শিলান্যাসে দু'হাজার স্বেচ্ছাসেবক
বাবরি মসজিদ নির্মাণের বৈধতা নিয়ে হুমায়ুনের বক্তব্য, 'সুপ্রিম কোর্ট বিচার করবে। সংবিধানে কোথায় লেখা আছে যে কোনও নাগরিক মসজিদ তৈরি করতে পারবে না, সেটা আমাকে দেখাক। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যাতে কোনও ধর্মের মানুষের অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে আমার ২,০০০ স্বেচ্ছাসেবক তৈরি থাকবে। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে চমক থাকবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।'

হুমায়ুনের হুঁশিয়ারি
পাশাপাশি, প্রশাসন বাধা দিলে রেজিনগর থেকে বহরমপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক অবরোধ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন হুমায়ুন কবির। প্রশাসনের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, 'আগুন নিয়ে খেলবেন না।' 

সংবেদনশীল ইস্যু
হুমায়ুনের ঘোষণা মতো আগামী ৬ ডিসেম্বর মসজিদের শিলান্যাস করবেন তিনি। লক্ষাধিক মানুষের সমাগমও আশা করছেন বিধায়ক।  রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, অত্যন্ত সংবেদনশীল এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে। বিজেপি ইতিমধ্যে এই সুযোগে তৃণমূলকে আক্রমণ করছে, যদিও শাসকদল জানিয়েছে, হুমায়ুনের মন্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মত, দলের অবস্থানের সঙ্গে এর যোগ নেই।

মসজিদের নাম বাবরি কেন, প্রশ্ন তৃণমূলের সিদ্দিকুল্লার
বিষয়টিতে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেছেন, 'বাবরি মসজিদ নির্মাণ করলে মুসলমানের কোনও সমস্যা মিটবে না। এটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা। আমরা দুঃখিত বাবরি মসজিদে মন্দির তৈরি হয়েছে। জঙ্গিপুরে কি ঘটনা ঘটেছে, সবাই জানে। সকলের চিন্তা-ভাবনা এক নয়। আইন মেনে চলা এক জিনিস, আর ভাঙা এক জিনিস। মসজিদ করবে আলেমরা। ইসলামি দৃষ্টিকোণে মসজিদের প্রয়োজন আছে কী না, তা দেখে অন্য নামে মসজিদ করতে পারে। বাবরি মসজিদ কেন, এটা দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা।'

Advertisement

রাজ্য সরকারের 'সংহতি দিবস'
এদিকে, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় ভাঙা হয়েছিল বাবরি মসজিদ। তার পর থেকেই ওই দিনটি ‘সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করা শুরু করেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেও দলীয় স্তরে প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর ওই কর্মসূচি পালন করা হয় তাঁর নির্দেশে। এ বার ওই সময়ে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন চলবে। ফলে ওই দিনটি ছুটি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement