তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ।-গ্রাফিক্সLakshmir Bhandar: তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চণ মল্লিকের স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ আবেদন করেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। এই দাবি করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। সামাজিক মাধ্যমে কিছু ছবি শেয়ার করে সুকান্তর দাবি, 'একটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে, যাতে নামসহ যে তথ্য দেওয়া আছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে এটি একজন অভিনেতা-তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রী করেছেন।
সুকান্তর বক্তব্য, 'নির্বাচনের আগে বিধায়করা মোটা টাকা ভাতা পাওয়ার পরও স্ত্রীকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করাচ্ছেন, যা তৃণমূলের 'ভাঁড়ারে দুর্দশা' বোঝায়।
গত ১৭ই অক্টোবর ২০২৫ তারিখের একটি লক্ষীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্র এখন সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে।এটিতে নাম সহ যে তথ্য এবং ছবি দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে সম্ভবত এই আবেদন করেছেন একজন অভিনেতা-তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রী!
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) November 4, 2025
সম্প্রতি সন্তান জন্মের জন্য হাসপাতালের বিপুল খরচের বিল পশ্চিমবঙ্গ… pic.twitter.com/t0MXT2racZ
এবিষয়ে শ্রীময়ীর সঙ্গে Bangla.aajtak.in-এর তরফে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোনে জানান, 'হ্যাঁ, আমার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছিল। অনেক আগে থেকে ছিল। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট হয়ে গিয়েছিল। তাই আবার আবেদন করেছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সবার জন্য। কোথাও লেখা নেই যে বিধায়কের স্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না।' তিনি আরও বলেন, 'বিয়ে হয়েছে এক বছর। কিন্তু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কবে থেকে দেওয়া হচ্ছে, তা জানতে হবে। অনেক বিজেপির নেত্রী-অভিনেত্রীরাও সরকারি সব সুযোগ সুবিধা নেন। আমি সকলের নামও জানি।'
তৃণমূল বিধায়ক ও অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক এবং তাঁর স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ সম্প্রতি হাসপাতালের বিল-বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। সন্তান জন্মের সময় জমা পড়া ৬ লক্ষ টাকার বিল নিয়ে বিধানসভায় তোলপাড় হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গও টেনেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। হাসপাতালের ৬ লক্ষ টাকার বিল কাঞ্চন মল্লিক বিধানসভায় জমা দেয়ার পর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজন হলে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
এক্স-এ সুকান্তর খোঁচা, 'রাজ্য বিধানসভার একজন সদস্য হিসেবে মোটা টাকা ভাতা পেয়েও স্ত্রী-কে দিয়ে লক্ষীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করানো হচ্ছে। ফলে এখানেই স্পষ্ট, লুটে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোথাও কোনও খামতি নেই তৃণমূলের।'