scorecardresearch
 

Manik Bhattacharya: MLA মানিকের গলায় দীর্ঘদিনের জমা 'আক্ষেপ', জেলমুক্তির পর কী বললেন?

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত সপ্তাহে জামিন পেয়েছেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। জেলমুক্তির পর মঙ্গলবার বিধানসভায় যান তিনি। শাসকদলের বিধায়কের গলায় শোনা গেল আক্ষেপের সুর।

Advertisement
মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্য।
হাইলাইটস
  • গত সপ্তাহে জামিন পেয়েছেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য।
  • জেলমুক্তির পর মঙ্গলবার বিধানসভায় যান তিনি।
  • আগামী সপ্তাহ থেকেই বিধানসভার কমিটি বৈঠকে যোগ দেবেন মানিক।

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত সপ্তাহে জামিন পেয়েছেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। জেলমুক্তির পর মঙ্গলবার বিধানসভায় যান তিনি। শাসকদলের বিধায়কের গলায় শোনা গেল আক্ষেপের সুর। সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, তিনি বলেছেন, 'অভিযোগ করার স্বাধীনতা আছে। প্রমাণ করার দায় নেই।' বিধানসভার সদস্য থাকায় জেলে থাকলেও কোনও কমিটি থেকে নাম বাদ যায়নি মানিকের। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহ থেকেই বিধানসভার কমিটি বৈঠকে যোগ দেবেন মানিক।


গত বৃহস্পতিবার মানিকের জামিন মঞ্জুর করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। শর্তসাপেক্ষে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ককে জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। আদালতের তরফে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে মানিককে। তৃণমূল বিধায়ককে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। তদন্তে সহযোহিতা করতে হবে তাঁকে। সাক্ষীদের ভয়-হুমকি দেখাতে পারবেন না। তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারবেন না। জামিন পেলেও এলাকা ছাড়তে পারবেন না মানিক।

 ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওএমআর শিট নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রায় ১০ বছর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে ছিলেন মানিক।

আরও পড়ুন

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির পাশাপাশি তদন্ত করছে আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে মানিককে গ্রেফতার করেনি সিবিআই। এই বিষয়ে আগে সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন মানিক। তাই বৃহস্পতিবার মানিককে জামিন দেওয়ায় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার ব্যাপারে আর কোনও বাধা রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে মানিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তারপর থেকে জেলবন্দি তৃণমূলের এই বিধায়ক। জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মানিক। অতীতে শুনানিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। অতীতে জামিনের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক। কিন্তু সেবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল না শীর্ষ আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের স্ত্রী এবং পুত্রকেও হেফাজতে নেয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে অবশ্য তাঁরা জামিন পান।

Advertisement

Advertisement