বাংলায় অন্যতম এক বিখ্যাত ও জাগ্রত কালী হলেন নৈহাটির বড়মা। এক অমোঘ টানে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত মানত করেন, পুজো দেন, ভিড় করেন একঝলক শুধু বড়মাকে দেখার জন্য। নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা বড় কালী ঠাকুরকেই স্থানীয়রা বড়মা বলে ডাকেন। সেই থেকেই চারিদিকে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর কাহিনি। কালীপুজোর রাতে নৈহাটির বড়মা দর্শনে ঢল নেমেছিল ভক্তদের। আর মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ সেখানে পুজো দিতে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল চারটেয় মন্দিরে পৌঁছনোর কথা তাঁর।
জানা যাচ্ছে, আজ প্রথমেই ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূলসাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো দেবেন নৈহাটির অরবিন্দ রোডে নবনির্মিত বড়মার মন্দির সংলগ্ন ১০০ বছর পুরনো ২২ ফুট উচ্চতার ঘন কৃষ্ণবর্ণের বড়মার প্রতিমায়। তার পর মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত কষ্টিপাথরের বড়মার মূর্তিতেও পুজো দেওয়ার কথা তাঁর। সেই মতো পুলিশ প্রশাসন এবং মন্দির কমিটির তরফে শুরু হয়েছে জোর তৎপরতা। বড়মা দর্শ নিয়ে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত গত ৭ নভেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে নৈহাটির বড়মা মন্দিরে যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি জানান, অভিষেকের চোখে অপারেশন হয়েছে। তাঁর এবং মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুস্থতা কামনা করে পুজো দেওয়া হয়েছে। আর সোমবার স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন, “মঙ্গলবার আমাদের নেতা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত জাগ্রত নৈহাটির বড়মার পুজো দিতে আসছেন।”
নৈহাটির বড়মার ভক্ত সংখ্যা প্রচুর। এই কালী মূর্তির আকারে ও উচ্চতায় বিরাট, প্রায় ২১ ফুটের কাছাকাছি উচ্চতা। প্রায় ধরুন ১৪ হাত উঁচু একটি কালীমূর্তি। এই কারণে এই দেবীকে বড়মা বলে ডাকেন সকলে।এই বছর এই পুজো শতবর্ষে পা দিল। সেই কারণে নৈহাটির অরবিন্দ রোডে তৈরি করা হয়েছে বড়মার বিরাট মন্দির। সেই মন্দিরে কষ্টি পাথরের দেবীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মাতৃমূর্তিকে পরানো হয়েছে ১০০ ভরি সোনার গয়না। মন্দিরের উদ্বোধনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আসতে পারেন এই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন নৈহাটি রেল স্টেশন সংলগ্ন অরবিন্দ রোডে বড়মার নবনির্মিত মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়। সেদিন তিনি যেতে না পারলেও শুভেচ্ছাপত্র পাঠিয়েছিলেন অভিষেক। এবার অবশ্য সশরীরে যাচ্ছেন তিনি।