মতুয়ানির্বাচন কমিশনের এসআইআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। বুধবার থেকে TMC সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের নেতৃত্বে মতুয়া সম্প্রদায়ের একটা অংশ অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগরে এই অনশন চলছে।
তাঁরা মূলত এসআইআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিও জানাচ্ছেন তাঁরা। এই বিক্ষোভটি ঠাকুরবাড়ির সামনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও এই অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না সাংসদ নিজেই।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে এবং ধর্মীয় উৎপিড়নের জন্য যাঁরা এদেশে এসেছেন, তাঁদের সকলকে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে।
অনশনকারীদের একজন বলেন, 'সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে। আমরা বাংলাদেশি নথি বা ঘোষণার ভিত্তিতে নাগরিকত্ব চাই না। নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চাই।'
এ দিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপি নেতা এবং মতুয়া মহাসংঘের আরও এক পক্ষের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর এই প্রতিবাদের বিরোধিতা করছেন। তিনি বলেন, 'ভোটের রাজনীতির জন্য মানুষকে বিক্ষোভে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।'
ও দিকে আবার নতুন কমিটি ঘোষণা হয়েছে
ঠাকুরবাড়িতে ভাঙন নতুন কিছু নয়। আর সেই ভাঙন আরও একবার প্রকট হল গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের নতুন ঘোষণায়। তিনি মতুয়া মহাসঙ্ঘের একটি তৃতীয় এবং সমান্তরাল কমিটি গঠনের ঘোষণা করেছেন।
যদিও শান্তনু ঠাকুর এই নতুন কমিটিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বরং তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনের অধীনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, কল্যাণীতে একটি CAA সহায়তা ডেস্ক তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আগত মানুষকে অ্যাপ্লিকেশনে সহায়তা করা হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য নানা বিষয়ে করা হচ্ছে সহায়তা।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধীতা চলছে
আসলে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই এসআইআর-এর বিরোধীতা করে এসেছে। পাশাপাশি তাঁরা সিএএ-র বিরোধিতাও বজায় রেখেছে। তৃণমূলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, যাঁরা সিএএ শিবিরে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরা আসামের দিকে লক্ষ করুন। সেখানকার মতো ডিটেনশন ক্যাম্পে জীবন কাটাতে হতে পারে।
এখন দেখার পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে গড়ায়। CAA এবং SIR নিয়ে ঠাকুরবাড়ির অভ্যন্তরীণ এই বিরোধীতা কোন দিকে যায়। কার হয় জয়। পাশাপাশি এর ফল তৃণমূল না বিজেপি, কোন দল নিজের ঘরে তোলে, সেটাও দেখার।