Sougata Roy on UCC Bill: তীব্র বিতর্ক উত্তরাখণ্ডে, বাংলাতেও আসছে UCC? যা জানালেন সাংসদ সৌগত
UCC বিল অর্থাৎ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর তোলপাড় হয় উত্তরাখণ্ড বিধানসভা। দেশের প্রথম রাজ্য যেখানে এই বিধি পেশ হয়। এই বিধি অনুযায়ী দেশের সমস্ত ধর্মের মানুষকে একই পারিবারিক, বিবাহ, বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার আইন মানতে হবে। এই বিধিতে আছে একত্র থাকারও একগুচ্ছ শর্ত। আর তাতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়- কলকাতা,
- 07 Feb 2024,
- (Updated 07 Feb 2024, 9:10 AM IST)
হাইলাইটস
- UCC বিল অর্থাৎ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর তোলপাড় হয় উত্তরাখণ্ড বিধানসভা
- দেশের প্রথম রাজ্য যেখানে এই বিধি পেশ হয়
UCC বিল অর্থাৎ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর তোলপাড় হয় উত্তরাখণ্ড বিধানসভা। দেশের প্রথম রাজ্য যেখানে এই বিধি পেশ হয়। এই বিধি অনুযায়ী দেশের সমস্ত ধর্মের মানুষকে একই পারিবারিক, বিবাহ, বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার আইন মানতে হবে। এই বিধিতে আছে একত্র থাকারও একগুচ্ছ শর্ত। আর তাতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই বিধি অনুযায়ী, লিভ-ইন সম্পর্কে থাকলেও সেটা জানাতে হবে সরকারকে। তবে, এ ধরনের কোনও বিধি লাগু হবে না পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় একথা জানিয়ে দেন।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, "আমরা UCC বাস্তবায়নের পক্ষে নই.. তারা বিজেপি শাসিত রাজ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে পারে, আমরা পশ্চিমবঙ্গে এটি বাস্তবায়ন করব না।" বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি অনুযায়ী, এই বিধি আইনে রূপায়িত হলে মুসলিম ল' বোর্ডের অস্তিত্ব হারাবে।
কী কী আছে UCC বিলে?
- বিয়ের সময় পুরুষের বয়স ২১ বছর এবং মহিলার বয়স ১৮ বছর হতে হবে। ধারা ৬ এর অধীনে বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হবে। এটি করতে ব্যর্থ হলে ২০,০০০ টাকা জরিমানাও হতে পারে।
- বিবাহের মেয়াদ এক বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোনও পুরুষ বা মহিলা বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আদালতে যেতে পারবে না।
- বিবাহ যে ধর্মীয় রীতিতে করা হোক না কেন, বিবাহবিচ্ছেদ শুধুমাত্র বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই হতে পারে।
- যেকোন ব্যক্তি তখনই পুনরায় বিবাহ করার অধিকার পাবেন যখন আদালত বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত প্রদান করবে এবং সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কোন অধিকার থাকবে না।
- আইনের পরিপন্থীতে বিয়ে করলে ছয় মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এছাড়া নিয়ম পরিপন্থী তালাক নিলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
- একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে দ্বিতীয় বিবাহ তখনই করা যেতে পারে যখন তাদের সঙ্গীরা কেউই জীবিত থাকবে না।
- যদি বিবাহিত অবস্থায় পুরুষ বা মহিলা অন্য কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে থাকে তবে তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- কেউ যদি পুরুষত্বহীনতার কারণে বা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিশোধ নেওয়ার কারণে বিয়ে করে থাকে তবে যে কেউ বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আদালতে যেতে পারে।
- যদি কোনও পুরুষ কোনও মহিলাকে ধর্ষণ করে থাকে বা বিবাহিত অবস্থায় মহিলাটি যদি অন্য কারও কাছ থেকে গর্ভবতী হয়ে থাকে, তবে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আদালতে আবেদন করা যেতে পারে। যদি পুরুষ বা মহিলা উভয়ই ধর্মান্তরিত হন তবে এটি বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনের ভিত্তি তৈরি করা যেতে পারে।
- সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমান অধিকার থাকবে। এতে কোনও ধরনের বৈষম্য করা হবে না। এ ছাড়া উইল এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত অনেক ধরনের নিয়মও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় একটি বিল পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এই বিলের খসড়ায় বিবাহের বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।