শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ যে অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসকদল তৃণমূলকে, একথা মুখে না বললেও কাজে স্পষ্ট। শুধু শুভেন্দু নয়, অমিত শাহের বঙ্গ সফরে তৃণমূল ছেড়ে পদ্মে যোগ দিয়েছে একাধিক মমতা শিবিরের নেতা-নেত্রীরা। এই আবহে 'বিদ্রোহী' বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান পার্থ চট্টোপাধ্যায় এমনটাই খবর। সোমবার দুপুর নাগাদ দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থর বাড়িতেই হবে এই একান্ত বৈঠক।
এর আগে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর পরই দলের বিরুদ্ধে পরোক্ষ বক্তব্যে অসন্তোষ উগরে দিয়েছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের কেন্দ্র হাওড়ার ডোমজুড় এবং জেলার বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সমর্থনে পোস্টার, হোর্ডিং দেখা যাচ্ছিল। বিধানসভা ভোটের আগে দলবদল করতে পারেন তিনি এমন গুঞ্জনও শোনা যায়। ১৩ তারিখ দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ডেকে পাঠানো হয় রাজীবকে। সেখানে প্রশান্ত কিশোরও ছিলেন। তিনজনের একান্তে আলোচনা হয়।
যদিও বরফ গলার কোনও চিহ্ন সেখানে দেখা যায়নি। উল্টে পটবদলের জল্পনাই জিইয়ে রাখেন তিনি। যদিও সেই বৈঠক থেকে রাজীব জানিয়েছিলেন, "ক্ষোভ থাকতেই পারে, তবে কারোর সঙ্গে আমার নাম জড়াবেন না। শুভেন্দুর বিষয় আলাদা, আমার বিষয় আলাদা। ক্ষোভ থাকলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটবে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে। আমায় আবার ডাকা হলে আসব। ’’
সম্প্রতি, রাজীবের অভিযোগ ছিল যে দলে এমন কিছু লোক নেতৃত্বে রয়েছেন যাঁদের মানুষ পছন্দ করে না। দলের অন্দরের খবর, রাজীব একান্তে বৈঠকের কথা জানিয়েছিলেন শীর্ষ নেতৃত্বকে। অর্থাৎ পিকে’র মধ্যস্থতা তাঁরও না-পসন্দ। কিন্তু আগের বৈঠকে পিকে উপস্থিত ছিলেন। সেই কারণেই কি এবার পার্থ-রাজীবের একান্ত বৈঠক? বনমন্ত্রীর মানভঞ্জন করতেই দলের এই উদ্যোগ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বৈঠক কতটা সদর্থক হবে সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।