Mamata Banerjee: 'বাংলার ভোটার লিস্টে হরিয়ানার লোকের এপিক নম্বর', 'ভুয়ো ভোটার' নিয়ে বিস্ফোরক মমতা

Mamata on Fake Voters: 'ভুয়ো ভোটার' প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে তুলোধোনা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি ভোটার লিস্টে বাইরের রাজ্যের লোকেদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিস্ফোরক দাবি তুলে মমতা বলেন, এর ফলে পঞ্জাব-হরিয়ানায় বসে ভোট দিলে সেই ভোট পড়বে বাংলায়।  অনলাইনে দিল্লি অফিস থেকে বসে এসব করে দিল্লি, মহারাষ্ট্রকে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। ওরা এই খেলা ধরতে পারেনি বলে দাবি করেন মমতা।

Advertisement
'বাংলার ভোটার লিস্টে হরিয়ানার লোকের এপিক নম্বর', 'ভুয়ো ভোটার' নিয়ে বিস্ফোরক মমতাতৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'ভুয়ো ভোটার' প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে তুলোধোনা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি ভোটার লিস্টে বাইরের রাজ্যের লোকেদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিস্ফোরক দাবি তুলে মমতা বলেন, এর ফলে পঞ্জাব-হরিয়ানায় বসে ভোট দিলে সেই ভোট পড়বে বাংলায়।  অনলাইনে দিল্লি অফিস থেকে বসে এসব করে দিল্লি, মহারাষ্ট্রকে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। ওরা এই খেলা ধরতে পারেনি বলে দাবি করেন মমতা। তাই ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখতে সাত দিনের মধ্যে কোর কমিটি গঠন করার কথা জানিয়ে দেন দলনেত্রী।

মমতার দাবি বাংলার ভোটারের সঙ্গে হরিয়ানার ভোটারের এপিক কার্ড সংযোগ করা হয়েছে। এদিন একটি তালিকা হাতে নিয়ে তিনি দাবি করে বলেন, "ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। নাহলে ইলেকশনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভয় পাবেন না, অনলাইনে একটা এজেন্সিকে দিয়ে এসব করানো হয়েছে।"

এদিন মমতা বলেন, "বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে একই এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে। তার মানে বাংলার মানুষ যখন ভোট দিতে যাবে বাইরের লোকটা এসে ভোট দিয়ে যাবে।" 

এদিন উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, "মহম্মদ আলি হোসেন তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদে, এর সঙ্গে নাম তুলেছে মনজিৎ, যার বাড়ি হরিয়ানা। বানেরা বিবি, বাড়ি রানীনগর, তার সঙ্গে নাম তুলেছে দীপক, যাঁর বাড়ি হরিয়ানায়। তাহলে পশ্চিমবঙ্গ হরিয়ানায় নাকি হরিয়ানায় ভোট দেবে বাংলা? বুঝতে পারছেন খেলাটা? আধার কার্ড কেলেঙ্কারি করেছে। আধার ওদের হাতে আছে। একই এপিক নম্বরে বাংলার ভোটারের যেখানে নাম আছে সেখানে পঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহারের নাম ঢুকিয়েছে। রেলে করে নিয়ে আসবে। ওদের তো ভোট নেই।"

এরই সঙ্গে মমতার হুঁশিয়ারি, "আবার মুর্শিদাবাদের ভোট হয়ে গেলে এদের নিয়ে আসবে উত্তর ২৪ পরগণায়। এটাই প্ল্যান! আমার কাছে যে তালিকা আছে সব হরিয়ানায়। এপিক কার্ড নম্বর শুরু হচ্ছে এক্স, ওয়াই, জেড থেকে। বহিরাগতদের বাংলা দখল করতে দেব না। এটা বাংলা দখল করার খেলা।" 

Advertisement

"বাংলার ভোটার কার্ডে দুটো এপিক নম্বর থাকলে আপনাকে ছেঁটে দেবে, এনআরসির নামে এটাই ওদের লক্ষ্য," দাবি করেন মমতা। ২০২৬-এর আগে আরও জোরদার 'খেলা হবে' বলে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, "আমরা কিন্তু ইলেকশন কমিশনেও দিনের পর দিন ধর্না দিতে পারি। আমরা অপপ্রচারের উত্তর দিতে জানি।" বুথের কর্মী, জেলা সভাপতিদের সহায়তায় ভোটার তালিকা কারচুপি রোখার দায়িত্ব দেন।

পাশাপাশি, ভোটার তালিকায় কারচুপি খতিয়ে দেখতে একটি কোর কমিটি গঠন করেন মমতা। সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে তিনি রাজ্যস্তরের পর্যায়ে ভোটার লিস্ট সংক্রান্ত কমিটি গঠন করেন। তারা চারজন করে রোজ বসবেন। কথা শুনবেন। সমাধান করবেন। এই কমিটিতে আছেন, সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজিত বোস, পার্থ ভৌমিক, ডেরেক ও' ব্রায়েন, উদয়ন গুহ, মমতাবালা ঠাকুর, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ফিরহাদ হাকিম, দেবাংশু ভট্টাচার্য, মালা রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সুমন কাঞ্জিলাল, বাপি হালদার, পুলক রায়, জগদীশ বাসুনিয়া, ঋতব্রত ভট্টাচার্য, মানস ভুঁইঞা, বীরবালা হাঁসদা, স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ, তৃণাঙ্কুর বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বেচারাম মান্না সহ অন্যান্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করেন। এরা বসে, পার্টি অফিসে কার, কী সমস্যা তা দেখবে বলে জানান দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

POST A COMMENT
Advertisement