কলেজে ইউনিয়ন রুমে বিয়ে-মালাবদল? TMCP-র আর এক ছাত্রনেতার VIDEO VIRAL

একের পর এক তৃণমূল ছাত্রনেতার 'দাপাদাপি'-র নমুনা প্রকাশ্যে আসছে। এবার ভাইরাল হল কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে তৃণমূল ছাত্রনেতার মালাবদলের ভিডিও। তা-ও কলেজের ইউনিয়ন রুমের ভিতর! সেখানেই বলেছিল বিয়ের আসর, অভিযোগ এমনটাই।

Advertisement
কলেজে ইউনিয়ন রুমে বিয়ে-মালাবদল? TMCP-র আর এক ছাত্রনেতার VIDEO VIRALকলেজের ইউনিয়ন রুমে বিয়ে!
হাইলাইটস
  • কলেজ ইউনিয়ন রুমে বসল বিয়ের আসর
  • ছাত্রীর গলায় মালা দিলেন তৃণমূল ছাত্রনেতা
  • ভাইরাল হল সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়ের ভিডিও

কসবা ল'কলেজে গণধর্ষণের ঘটনার পর থেকে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তৃণমূল ছাত্ নেতাদের দাপাদাপির একাধিক খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সোনারপুর কলেজের ইউনিয়ন রুমে ছাত্রীকে দিয়ে মাথা টেপানো কিংবা যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল'কলেজে দুই ছাত্রীর সঙ্গে তৃণমূলের 'দাদা'-র ভাইরাল ভিডিও তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। আর এবার ইউনিয়ন রুমের মধ্যে ছাত্রীকে বিয়ে করলেন তৃণমূল ছাত্রনেতা। সিঁদুর পরিয়ে, মালাবদল করে আনুষ্ঠানিক বিয়ে সারার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাজ্জব সকলেই।

ঘটনাটি কী?

ঘটনাটি কাকদ্বীপের সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়ের। পাত্রের নাম অশোক গায়েন। তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা এবং কাকদ্বীপেরই বাসিন্দা। পাত্রী কলেজেরই এক ছাত্রী। অশোক গায়েন কলেজের ভেতর বিয়ের কথা অস্বীকার করেছেন। বাইরে বিয়ের পর কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন বন্ধুর অনুরোধে নাকি দেখা করতে এসেছিলেন। কিছুক্ষণ থাকার পর তাঁরা বেরিয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি অশোকের।

কী বলছেন তৃণমূল নেতা?

অথচ ভাইরাল হওয়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ইউনিয়ন রুমের মধ্যেই মালাবদল করছেন তাঁরা। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in. অশোকের সাফাই, 'আমি ওই কলেজেরই ছাত্র নই। তবে ওই কলেজের ছাত্রীর সঙ্গেই দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ওকেই বিয়ে করেছি। তবে বিয়ে করেছি বাইরে। বন্ধুরা বলেছিল, যেতে। তাই গিয়েছিলাম। ছবি তুলে ২ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে যাই।' অশোক এ-ও জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ আর করেন না। বর্তমানে তিনি কুলপির একটি দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।

কী বলছে কলেজ?

কলেজের অধ্যক্ষ শুভঙ্কর চক্রবর্তী এই বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'যেদিন ঘটনাটা ঘটেছে, আমি তখন কলেজে ছিলাম না। বিকাল ৫টার পর জানতে পারি। নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে সঙ্গে বলি গিয়ে দেখতে। নিরাপত্তারক্ষী বলেছিলেন, কেউ রয়েছে, বিয়ে করে ঢুকেছে, হুল্লোড় করেছে। ওদের বেরিয়ে যেতে বলেছিলাম। সামনের গেট খুলতে বারণ করেছিলাম।' তবে বিয়ের আসর ইউনিয়ন রুমে বসে বলেই দাবি অধ্যক্ষের। পাশাপাশি পাত্রী কলেজের দ্বিতীয় সেমেস্টারের ছাত্রী হলেও পাত্র কলেজে পড়েন না বলেই জানিয়েছেন অধ্যক্ষ।

Advertisement

তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই অন্য এক নেতা সৌম্যদীপ গায়েন বলেন, 'বিয়েটা বাড়িতেই হয়েছে। বিয়ের পর ওরা দেখা করতে এসেছিল। ছবি তোলা হয়। এটা নিয়ে মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে।'

যদিও বিরোধী ছাত্র শিবিরের দাবি, মালাবদল হয়েছে ইউনিয়ন রুমের মধ্যেই কারণ ছবিতে তা দেখা গিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিয়ের আসর বসানো নিয়ে ফুঁসে উঠেছে তারা।

POST A COMMENT
Advertisement