পুজোর বুকিং চাইছেন পর্যটকরা, অনিশ্চয়তায় বুকিং নিতে চাইছে না সংস্থাগুলি

দুর্গাপুজোর আগে, দুর্গাপুজোর পর, কালীপুজোর পরে কিংবা নভেম্বর-ডিসেম্বরের শীতের শুরুতে পাহাড় থেকে সমতল, তরাই থেকে ডুয়ার্স সমস্ত জায়গায় ঘুরতে যেতে চেয়ে প্রতিদিন শয়ে শয়ে এনকোয়ারি আসছে। কিন্তু বেশিরভাগ ট্যুর অপারেটররাই এখন বুকিং নিচ্ছেন না। কেন? আগাম বুকিং হলে তো তাঁদের ব্যবসা সুনিশ্চিত হবে। গত কয়েক মরশুমে একের পর এক বুকিং ক্যানসেল হয়ে যাওয়ার গতি দেখে তাঁরা এত দিন আগে থেকে বুকিং নিতে চাইছেন না।

Advertisement
পুজোর বুকিং চান পর্যটকরা, এখনই রাজি নয় সংস্থাগুলিপুজোর পর গেলে এ দৃশ্যের দেখাও মিলতে পারে
হাইলাইটস
  • একের পর এক বুকিংয়ের আবেদন আসছে
  • এখনই বুকিং নিতে চাইছেন না অপারেটররা
  • অগাস্টের পরে বুকিং কনফার্ম করবে সংস্থাগুলি

ঘুরতে যেতে চেয়ে পর্যটকদের হাহাকার 

লকডাউন পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ কাটেনি। কয়েক মাস পরে কি হবে, তাও জানা নেই কারুর। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, তা জানা থাক বা না থাক, দীর্ঘদিন বদ্ধ থেকে ঘুরতে যেতে আঁকুপাকু করছে মন। তাই গাঁটের কড়ি খসিয়ে এখনই পুজোর ঘোরাঘুরির বন্দোবস্ত করে ফেলতে চাইছেন পর্যটকরা। দুর্গাপুজোর আগে, দুর্গাপুজোর পর, কালীপুজোর পরে কিংবা নভেম্বর-ডিসেম্বরের শীতের শুরুতে পাহাড় থেকে সমতল, তরাই থেকে ডুয়ার্স সমস্ত জায়গায় ঘুরতে যেতে চেয়ে প্রতিদিন শয়ে শয়ে এনকোয়ারি আসছে।

আপাতত বুকিং নেওয়ার সাহস নেই

কিন্তু বেশিরভাগ ট্যুর অপারেটর রাই এখন বুকিং নিচ্ছেন না। কেন? আগাম বুকিং হলে তো তাঁদের ব্যবসা সুনিশ্চিত হবে। না, ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে যেমন ভয় পায়, তেমনিই গত কয়েক মরশুমে একের পর এক বুকিং ক্যানসেল হয়ে যাওয়ার গতি দেখে তাঁরা এত দিন আগে থেকে বুকিং নিতে চাইছেন না। ফের যদি বুকিং ক্যানসেল হয়, তাহলে আবার বায়না করা টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। ফলে লাভের লাভ কিছুই হবে না।

সমস্ত বুকিং হোল্ড

তাই আপাতত সমস্ত বুকিং হোল্ড করে রাখছেন তারা। যারা যারা খোঁজ-খবর করছেন তাদের নাম ঠিকানা ফোন নম্বর নিজেদের গুডবুকে তুলে রাখছেন ট্যুর অপারেটররা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অগাস্টের পর থেকে তারা বুকিং কনফার্ম করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

পরিস্থিতির দিকে নজর

কেউ কেউ অবশ্য অত্যুৎসাহী হয়ে এখনই বুকিং নিচ্ছেন তবে তা সংখ্যায় খুবই নগণ্য। ইস্টার্ন হিমালায়ান ট্র্যাভেল এন্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন কিংবা হিমালায়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সদস্যরা মনে করছেন এই মুহূর্তে বুকিং নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরেও বুকিং দেওয়া যাবে। 

অগাস্টের পর বুকিং নিয়ে সিদ্ধান্ত

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের যুগ্ম-সম্পাদক তাপস সাধন রায় জানিয়েছেন, খোঁজখবর, এনকোয়ারি আসছে প্রচুর। কিন্তু কয়েক মাস পর কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে, তা এখনই আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারছি না। তবে আশা করা যাচ্ছে, গত বছরের মতো যদি জুন-জুলাই এরপর থেকে ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ কমতে থাকে, তাহলে হয়তো আনলক পর্যায়ে অনেক রকম সুযোগ-সুবিধা মিলবে। সে ক্ষেত্রে আজকের পর থেকে বুকিং নেওয়া যেতে পারে।

Advertisement

বিধিনিষেধ মেনে অনেকে এখনই এক পায়ে খাড়া

তবে অনেকেই আবার এর মধ্যেই ঘুরতে যেতে চাইছেন সে ক্ষেত্রে অনেক রকম বিধিনিষেধ রয়েছে rt-pcr টেস্ট করে তার পজিটিভ রিপোর্ট নিয়েই তারপরও অনুমতি মিলছে কোনও পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার। তবে টিকার শংসাপত্র থাকলে আর্টিফিশিয়াল রিপোর্ট না হলেও চলবে।

চাহিদা বেশি হোমস্টে-অফবিট ডেস্টিনেশনে

তরাই, ডুয়ার্স, পাহাড় সর্বত্র ভ্রমণের জন্য খোঁজ খবর আসছে। তবে অফবিট জায়গাগুলিতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য চাহিদা বেশি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হোমস্টেগুলির চাহিদা রয়েছে। মূল পর্যটনকেন্দ্র থেকে একটু দূরে একান্ত নির্জন জায়গাগুলি চাহিদা বেশি বলে সংস্থাগুলির তরফে জানিয়েছেন রবিন লামা।

 

POST A COMMENT
Advertisement