Ritabrata Banerjee: জহরের জায়গায় ঋতব্রত, রাজ্যসভায় বিতাড়িত CPM নেতাকে প্রার্থী করল TMC

জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভা আসনে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করল তৃণমূল। অর্থাৎ আরও একবার জয়ী হয়ে রাজ্যসভায় যেতে পারেন এই প্রাক্তন সিপিএম নেতা।

Advertisement
জহরের জায়গায় ঋতব্রত, রাজ্যসভায় বিতাড়িত CPM নেতাকে প্রার্থী করল TMCজহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভা আসনে ঋতব্রতকে প্রার্থী করল TMC
হাইলাইটস
  • রাজ্যসভা আসনে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করল তৃণমূল
  • এর আগে তিনি সিপিএমের টিকিটে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন

জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভা আসনে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করল তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই খবর জানানো হয়েছে। আরও একবার জয়ী হয়ে রাজ্যসভায় যেতে পারেন এই প্রাক্তন সিপিএম নেতা। এর আগে তিনি সিপিএমের টিকিটে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন। তবে, ২০১৭ সালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, 'আমরা তাঁকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। তিনি যেন তৃণমূলের অদম্য চেতনার চিরস্থায়ী উত্তরাধিকারকে ধরে রাখার জন্য কাজ করেন এবং প্রতিটি ভারতীয়র অধিকারের পক্ষে কথা বলা চালিয়ে যান।'

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হন জহর সরকার। আর তা নিয়েই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। সেপ্টেম্বর মাসে তিনি সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সেই থেকে আসনটি খালি ছিল। মুখ্যমন্ত্রী এবং টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জহর সরকার। তিনি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া এবং সমস্যা সমাধানে দলের ব্যর্থতার জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেন।

সেই সময় জহর সরকার বলেন, 'দলের সুশৃঙ্খল সাংসদ হিসেবে আমি এক মাস ধরে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলাম। দেখলাম, পরিস্থিতি সামলাতে একাধিক ভুল করা হয়েছে। তার জেরে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে'। আরজি কর-কাণ্ডে দলের উপরতলার নেতৃত্বকে সঠিক দিশা দেখানি কেন? জহরের জবাব,'শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম। তবে সেই চেষ্টা বিফল হয়েছে। এই ঘটনা বাংলার গণতান্ত্রিক শক্তিকে ধাক্কা দিয়েছে। নিজেদের না শুধরোলে সাম্প্রদায়িক দল ক্ষমতায় আসতে পারে।' তিনি আরও বলেন, 'আমি রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। তবে নিজের আদর্শ ছাড়তে পারব না। রাস্তায় যে আন্দোলন হচ্ছে, সেটাকে রাজনৈতিক বলে দাগিয়ে দিলে চলবে না। আমি দেখেছি, এই আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত। সাধারণ মানুষের রাগের প্রতিফলন। কয়েকটি রাজনৈতিক দল ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা বলে আন্দোলন রাজনৈতিক এটা বলা যাবে না।'

Advertisement

অন্যদিকে, জীবনযাত্রা নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠার পরে ঋতব্রতকে দল থেকে সাসপেন্ড করে সিপিএম। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।

POST A COMMENT
Advertisement