মৃত তৃণমূল কর্মী।বছর ঘুরলে ভোট। নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। এরই মধ্যে মালদায় তৃণমূল কর্মীর রহস্যমৃত্যু। নিখোঁজ থাকার একদিনের মাথায়, মঙ্গলবার সকালে ইংলিশবাজার থানার কাটাগর এলাকার একটি আমবাগান থেকে উদ্ধার হল তৃণমূল কর্মী ওবায়দুল্লা খানের গুলিবিদ্ধ দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলেজ মোড় বাথান এলাকায়। এখানেই থাকতেন পেশায় কয়লা ব্যবসায়ী এই যুবক।
পরিবারের দাবি, সোমবার বিকেল চারটের পর বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে বের হয়েছিলেন ওবায়দুল্লা। অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি। কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এরপর রাতেই কালিয়াচক থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিবারের সদস্যরা। সকালে তাঁর দেহ উদ্ধারের খবর আসে। পাশেই পড়ে তাঁর বাইকটিও।
কেন এই নৃশংস খুন? কাদের পরিকল্পনা? রাজনৈতিক যোগ না কি ব্যবসায়িক শত্রুতা? কোনওটাই এখনও স্পষ্ট নয়। পরিবারের অভিযোগ, খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া এভাবে খুন করা সম্ভব নয়।
ওবায়দুল্লার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত(প্রতিবেদন লেখার সময়) কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, খুনের নেপথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকার সিসিটিভি সহ সমস্ত সূত্র খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরই ইংরেজবাজারে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকার। সেই মামলার বিচার চলছে। তাই ফের শাসকদলের কর্মীর মৃত্যুতে আশঙ্কার আবহ তৈরি হয়েছে।
ওবায়দুল্লার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, ভোটের আগে রাজনৈতিক লড়াইতেই কি মৃত্যু? নাকি ব্যবসায়িক বিরোধ? তদন্তেই তার উত্তর মিলবে বলে আশাবাদী পুলিশ। আপাতত অজানা আতঙ্কই সঙ্গী স্থানীয়দের।