বাবুলের প্রতি কুণালের রোষ অব্যাহত
বাবুল সুপ্রিয়-এর উপর কুণাল ঘোষের রোষ কিছুতেই কমছে না। নাকি লাগাতার বাবুলকে আক্রমণ করে নিজেদের দিকে আকর্ষিত করার কৌশল নিয়েছেন কুণাল। এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন একমাত্র তৃণমূলের মুখপাত্র, নিজেই। কিন্তু তার পরপর ঘন্টায় ঘন্টায় টুইটে বাবুলকে লক্ষ্য করে চোখা চোখা বিষবাণ ছুঁড়ে দেওয়া কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। কিন্তু কেন ?
টুইটে কুণালের কৌশল
সোমবার সকালে কুণাল ঘোষ এর নতুন টুইট ঘিরে আবার জল্পনা তুঙ্গে। তিনি বাবুল সুপ্রিয়কে টুইটে ট্যাগ করে লিখেছেন, ইস্তফা দেবেন? নাকি ফ্লপ নাটকের প্রত্যাশিত দৃশ্য। বলবেন, অমুক-অমুকের অনুরোধে ছাড়লাম না। নানা রকম কথা লেখার দরকার নেই। এটা রাজনৈতিক প্রশ্ন। ইস্তফা, নাকি নাটক ! এটুকু লেখার পর অবসশ্য তারপরে অবশ্য তিনি খানিকটা সুর নরম করে প্রশ্রয়ের সুরে বলেছেন, আপনার গানের আমি ভক্ত। নাটক হিসেবে বড় কাঁচা। না হলে বলুন, দিল্লির নজর টানতে নাটক করছেন।
বাবুলের পিছনে কেন নাছোড় কুণাল !
তা বাবুল ইস্তফা দেবেন, কি দেবেন না, তা সম্পূর্ণ বাবুল সুপ্রিয়র নিজস্ব ব্যাপার ও সিদ্ধান্ত। তাঁর এবং বিজেপি দলের মধ্যেকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি কেন এত উতলা হচ্ছেন, তা অবশ্য বোঝা যায়নি। তাঁর বাবুলের পিছনে লেগে থাকার কারণ কি? বাবুলকে তৃণমূলে টেনে আনার কৌশল ! সে উত্তর তিনি দেননি।
বাবুলকে নরমে-গরমে কাছে টানার চেষ্টা ?
কিন্তু আগের দিন সকালেই তাঁরই দলের এক বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছিলেন, বাবুলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাকে বলেছি, রাজনীতি ছাড়তে না তাহলে তিনি যদি তোকে সু-পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তাহলে কুণাল কী সে পথেই হেঁটে বাবুলকে মোটিভেট করার চেষ্টা করছে? এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় রাজনীতির অন্দরে।
বাবুলকে ট্যাগ করে রোজ প্রশ্ন বাণ
প্রতিদিন বাবুলকে ট্যাগ করে তাঁর চোখা চোখা প্রশ্নবাণ নিশ্চয়ই নজর এড়ায়নি খোদ গায়ক-অভিনেতা সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র। কিন্তু বাবুলের তরফে এই বিতর্কে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ধর্মেন্দ্রর সিনেমার দৃশ্য প্রকাশ
রবিবারই শোলে সিনেমার একটি দৃশ্যের উল্লেখ করে কুণাল টুইট করেছিলেন ধর্মেন্দ্রর মতোই ট্যাংক থেকে ঝাঁপানোর মিথ্যা কৌশল অবলম্বন করেছেন। তারপরই তিনি রাতে সেই দৃশ্য পোস্ট করে দেন টুইটারে। যা থেকে বেশ বিনোদন কুড়িয়েছেন নেটিজেনরা।