নকল সোনার কারবারের পর্দাফাঁস করতে গিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকে। মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম সর্দারের ঘরে তল্লাশি চালাতে গিয়ে কেঁচো খুড়তে কেউটে পেয়েছে পুলিশ। ঘরে ঘাটের তলায় সুড়ঙ্গের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক সাদ্দাম এবং তাঁর ভাই সাইরুল। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ওই সুড়ঙ্গ দিয়েই সাদ্দাম পালিয়েছেন বলে অনুমান। এই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে দায়িত্বগ্রহণের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজীব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুলতলির সুড়ঙ্গকাণ্ড প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, 'একটা সুড়ঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে না। আবার ছোট করে দেখার দরকারও নেই। কী কারণে সুড়ঙ্গ করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
কুলতলিতে ঠিক কী ঘটেছে?
ভুয়ো সোনার মূর্তি দেখিয়ে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ উঠেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার কুলতলির জালাবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের পয়তারহাটের সাদ্দাম সর্দারের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এলাকাবাসীদের একাংশ পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশকর্মীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। সাদ্দামের ভাই সাইরুল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক সাদ্দাম এবং তাঁর ভাই। তাঁদের স্ত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় আলোচনায় উঠে এসেছে সুড়ঙ্গ। সাদ্দামের ঘরে তল্লাশি চালাতে গিয়ে খাটের তলায় সুড়ঙ্গটি দেখতে পায় পুলিশ। সুড়ঙ্গের উপরে গ্রিল রয়েছে। তাতে তালা ঝুলছে। ইটে তৈরি সুড়ঙ্গে হাঁটু জল জমে আছে। সেই সুড়ঙ্গ শেষ হয়েছে পাশের খালে। সেই খাল আবার গিয়ে পড়েছে পাশের মাতলা নদীতে।
সাদ্দাম কী কারণে ঘরের মধ্যে এমন সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ এলে এই সুড়ঙ্গ দিয়ে খাল পেরিয়ে পালানোর পরিকল্পনা ছিল সাদ্দামের, প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান পুলিশের।