ম্যাট্রিকে একই নম্বর পেয়েছিলেন বাম আমলের অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত এবং তাঁর যমজ ভাই অতীশ। ৬৫ বছর পর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল বাঁকুড়ায়। তবে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সমান নম্বর পেয়ে নজির গড়ল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের দুই ছাত্র অঙ্কিত ও অনিশ বারুই। দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। মেধাতালিকায় স্থান নবম।
জন্মের ব্যবধান মাত্র কয়েক সেকেন্ডের। কিন্তু নম্বরে সেটুকুও ব্যবধান নেই যমজ ভাই অঙ্কিত আর অনিশের। রামকৃষ্ণ মিশনের দুই ছাত্র ৯৭.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে নবম স্থান অধিকার করেছে উচ্চমাধ্যমিকে। কাকতালীয় ভাবে মাধ্যমিকের মেধাতালিকাতেও একসঙ্গে ঠাঁই হয়েছিল বাঁকুড়ার এই দুই যমজ ভাইয়ের। ২০২৩ সালের মাধ্যমিকে চতুর্থ ও ষষ্ঠ স্থান পেয়েছিল তারা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার গণ্ডি টপকে দ্বিতীয় ধাপেও একসঙ্গে দৌড়েছে যমজ ভাই। তবে কেউ কাউকে টেক্কা দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারেনি। একই নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের সম্ভাব্য স্থান অধিকার করল অঙ্কিত ও অনিশ।
ঠিক একই ভাবে ১৯৬০-এ দার্জিলিং গভর্নমেন্ট স্কুলের ছাত্র, যমজ ভাই অসীম দাশগুপ্ত এবং অতীশ দাশগুপ্ত তৎকালীন স্কুল ফাইনাল অর্থাৎ ম্যাট্রিক পরীক্ষায় একই নম্বর পেয়েছিলেন। পরে দু’জনের পথ ভিন্ন হয়ে যায়। অসীমবাবু চলে যান অর্থনীতিতে। অতীশবাবু ইতিহাসে।
তবে এই ধরনের কাকতালীয় ঘটনা এ রাজ্যে নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছে যমজ পড়ুয়ারা।
এবছর উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় থেকেই রয়েছে আরও দুই ছাত্র। অদ্রিচ গুপ্ত এবং রফিত রানা লস্কর। তাঁরা দু'জনেই ৪৯০ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। এবছরের মেধাতালিকায় ঠাঁই হয়েছে ৭২ জনের। কোভিড পরবর্তী সময়ে এটাই সবচেয়ে ভাল উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। প্রথম বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের রূপায়ন পাল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। দ্বিতীয় স্থানেও রয়েছে একজনই। কোচবিহারের বক্সিরহাট হাইস্কুলের ছাত্র তুষার দেবনাথ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। শতাংশের বিচারে ৯৯.২। তৃতীয় স্থানে আরামবাগ হাইস্কুলের ছাত্র রাজর্ষি অধিকারী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। ৯৯ শতাংশ।