হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় জনবসতি এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে উঠল রাতের নিস্তব্ধতা। শনিবার গভীর রাতে, তাঁতিবেড়িয়ার একটি বাড়িতে রাখা বাজি ও মশলার ভাণ্ডারে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে পার্শ্ববর্তী একাধিক বাড়ির দরজা, জানলার কাচ ভেঙে যায়, এমনকি ফাটল ধরেছে বেশ কিছু বাড়ির দেওয়ালে।
রাতের বিস্ফোরণ, বাড়িমালিক আটক
পুলিশ জানিয়েছে, রাত ১টা নাগাদ প্রবল শব্দে তাঁতিবেড়িয়া পাড়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং প্রাথমিক তদন্তের পর বাড়িমালিককে আটক করে। সন্দেহ করা হচ্ছে, বাড়িতে বেআইনিভাবে প্রচুর পরিমাণে বাজি এবং মশলা মজুত ছিল, যার কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য
এই ঘটনার ঠিক আগের শুক্রবার উলুবেড়িয়ার গঙ্গারামপুর এলাকাতেও বাজি ফাটানোর সময় তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। একটি চরকির ফুলকির থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় পুরো বাড়িটিই পুড়ে যায় এবং তার পাশের দোকানেও আগুন লেগে যায়। সেই ঘটনার আতঙ্ক না কাটতেই আবারও বাজি বিস্ফোরণ চাঞ্চল্য তৈরি করেছে এলাকায়।
প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করা হচ্ছিল। তাদের মতে, পুলিশ ও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কীভাবে বাজি কারখানা চালানো সম্ভব হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রসঙ্গত, প্রতিবার উৎসবের আগে বাজি বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসন উদ্যোগী হলেও বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে পিছিয়ে থাকছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
প্রশাসনের উদ্যোগ এবং তদন্ত
হাওড়া (গ্রামীণ) জেলার পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙালিয়া জানিয়েছেন, ঘটনাটি খুবই গুরুতর এবং তার যথাযথ তদন্ত চলছে। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে যে, বেআইনি বাজি কারখানাগুলির বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।