scorecardresearch
 

Santiniketan: শান্তিনিকেতনের শুধু ৩টি জোন UNESCO ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ, কেন?

কবিগুরুর শান্তিনিকেতনকে এবার বিশ্ব হেরিটেজের (World Heritage) তকমা দিচ্ছে ইউনেস্কো (UNESCO)! নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। রবিবার সরকারিভাবে সেই খবর ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাস লালমাটির দেশে (World Heritage)। বীরভূম জেলার মানুষ তো বটেই পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশের জন্য নিঃসন্দেহে গর্বের মুহূর্ত বয়ে এনেছে ইউনেস্কোর এই ঘোষণা। 

Advertisement
ফাইল ছবি। ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • কবিগুরুর শান্তিনিকেতনকে এবার বিশ্ব হেরিটেজের (World Heritage) তকমা দিচ্ছে ইউনেস্কো (UNESCO)! নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো।
  • রবিবার সরকারিভাবে সেই খবর ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাস লালমাটির দেশে (World Heritage)।

কবিগুরুর শান্তিনিকেতনকে এবার বিশ্ব হেরিটেজের (World Heritage) তকমা দিচ্ছে ইউনেস্কো (UNESCO)! নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। রবিবার সরকারিভাবে সেই খবর ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাস লালমাটির দেশে (World Heritage)। বীরভূম জেলার মানুষ তো বটেই পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশের জন্য নিঃসন্দেহে গর্বের মুহূর্ত বয়ে এনেছে ইউনেস্কোর এই ঘোষণা। 

শান্তিনিকেতনের সঙ্গে বাঙালির আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। বাউল গানের এই দেশে যাঁরা পা রেখেননি, তাঁরাও এখানের ছবি দেখে মোহিত হয়ে যান। রবি ঠাকুরের কবিতায়-গানে খুঁজে নেন শান্তিনিকেতনের ছোঁয়া। রবিবার সৌদি আরবের রিয়াদে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বর্ধিত ৪৫তম অধিবেশনে শিলালিপিটি প্রদান করা হয়।

শান্তিনিকেতন।

২০২২ সালে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তবে গোটা শান্তিনিকেতন হেরিটেজ ট্যাগ পাবে না। আশ্রম. উত্তরায়ণ এবং কলা ভাবনা ও সঙ্গীত ভাবনা-সহ এলাকাটিকেই ওই তকমা দেওয়া হয়েছে।
শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ন্যায্যতা, ইউনেস্কো বলে, "শান্তিনিকেতনের ভবন, আসবাবপত্র, ল্যান্ডস্কেপ, ম্যুরাল, শিল্প এবং ভাস্কর্যের নকশা যা বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের প্রতিনিধিত্বকারী এশিয়ান 'অ্যাভাগার্দে'র একটি বাস্তব প্রদর্শন। বৈশ্বিক অনুসন্ধান যা আধুনিকতার সূচনা করেছে।"

আরও পড়ুন

শান্তিনিকেতন সরাসরি এবং স্পষ্টভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তার সহযোগীদের বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট এবং প্রারম্ভিক ভারতীয় আধুনিকতার পথপ্রদর্শকদের ধারণা, কাজ এবং দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যুক্ত। বঙ্গভঙ্গের পটভূমিতে শান্তিনিকেতন বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে বাংলার শৈল্পিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক নবজাগরণের মূলে পরিণত হয়েছিল। কেন্দ্রের তরফে ২০১০ সালে শান্তিনিকেতনের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছিল, যখন ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (ASI) হেরিটেজ স্থপতি আভা নারায়ণ লাম্বা এবং মনীশ চক্রবর্তীর কাছে মনোনয়নের ডসিয়ার প্রস্তুত করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।

Advertisement
বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস।

শান্তিনিকেতন সংসদের একটি আইন, ১৯৫১ শান্তিনিকেতন আইন দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। এটি ছিল ভারত সরকার কর্তৃক ঘোষিত প্রথম সেন্টার ফর এক্সিলেন্স।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্সে লেখেন, ‘‘আমি খুব আনন্দিত এবং গর্বিত যে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর শান্তিনিকেতন এখন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিশ্ববাংলার গর্ব, শান্তিনিকেতনকে লালন করেছেন কবি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম একে সমর্থন করে গিয়েছেন বাংলার মানুষ।’’ 

মমতা এক্সে এও জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকার গত ১২ বছর ধরে এর পরিকাঠামো উন্নয়নের করে গিয়েছে। এখন তাকে স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো। এর পরেই তিনি কুর্নিশ জানান সেই সব মানুষকে, যাঁরা বাংলাকে ভালবাসেন, রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর ভ্রাতৃত্বের বার্তাকে ভালবাসেন। তিনি লেখেন, ‘‘জয় বাংলা, গুরুদেবকে প্রণাম।’’ 

এক্সে ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতির কথা লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি বাংলায় লেখেন, ‘‘একথা জেনে আনন্দিত হলাম যে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্ন ও ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মূর্ত রূপ শান্তিনিকেতন উৎকীর্ণ হয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব পরম্পরা তালিকায়। সব ভারতীয়ের কাছেই এ এক গর্বের মুহূর্ত।’’

 

Advertisement