১০০-য় ২০০! বিশ্বভারতীর এমএড-র মেধাতালিকা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল

এমএড-এ ভর্তির জন্য চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর বিনয় ভবনে অনলাইনে (Online) প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এমএড-এ ৫০টি আসনের মধ্যে ২৫টি অভ্যন্তরীণ এবং ২৫টি বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত এবং ৪০ নম্বর আগের পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ধারিত হয়। পরীক্ষার পর মেধাতালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা। 

Advertisement
১০০-য় ২০০! বিশ্বভারতীর এমএড-র মেধাতালিকা নিয়ে ব্যাপক শোরগোলবিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
হাইলাইটস
  • এমএড-এর মেধাতালিকায় অনিয়মের অভিযোগ
  • তদন্তের দাবি ছাত্রছাত্রীদের
  • মুখে কুলুপ কর্তৃপক্ষের

এমএড-এর মেধা তালিকায় ১০০ এর মধ্যে ২০০ পেলেন পরীক্ষার্থীরা। মূল্যায়ন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চূরান্ত অনিয়মের অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের। ঘটনাস্থল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Vishwabharati University)। ঘটনায় তদন্তের দাবিও জানাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। যদিও গোটা বিষয়ে মুখে খুলতে নারাজ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। 

জানা গিয়েছে, এমএড-এ ভর্তির জন্য চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর বিনয় ভবনে অনলাইনে (Online) প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এমএড-এ ৫০টি আসনের মধ্যে ২৫টি অভ্যন্তরীণ এবং ২৫টি বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত এবং ৪০ নম্বর আগের পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ধারিত হয়। পরীক্ষার পর মেধাতালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা। 

এমএড-এর মেধাতালিকা
এমএড-এর মেধাতালিকা

কিন্তু  এমএড-এর (M Ed) মেধাতালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পরীক্ষার্থীদের। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভাষা বিভাগে দুই পড়ুয়া ১০০-র মধ্যে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০০.২৮  এবং ১৯৮.৩৮৫। সমাজবিজ্ঞান বিভাগে দুই পড়ুয়া পেয়েছেন যথাক্রমে ১৯৬.৩৬৭ এবং ১৫১.২৭৫। কী ভাবে পরীক্ষার্থীরা এমন নম্বর পেলেন, তা নিয়ে  ইতিমধ্যেই  প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমন ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও।
 
ছাত্রছাত্রীদের দাবি, বিশ্বভারতীতে ভর্তি নিয়ে এর আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তাই সব কিছু অনলাইন করে দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও এই ধরনের ভূল। ছাত্রাছাত্রীরা বলছেন, সর্বভারতীয়স্তরে বিশ্বভারতীর মান নেমে হয়েছে ৯৭। এই ভাবে চললে সেই মান আরও নামার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কোনও কিছু বলতে চানি বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার।

 

POST A COMMENT
Advertisement