বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল। বুধবার দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ২৫ হাজার ৮০০ লিটারের একটি জলের ট্যাঙ্ক আচমকা ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যালের সুপার তাপস কুমার ঘোষ। বেশ কয়েক জন যাত্রী জখমও হয়েছেন। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে রেল সূত্রে এখনও মৃত্যুর খবর জানা যায়নি। আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগেও, বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ২০২০ সালে স্টেশনের মূল ভবনের একাংশ ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
জলের ট্যাঙ্কের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে প্ল্যাটফর্মের শেড। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে আরপিএফ এবং জিআরপি। আচমকা এই দুর্ঘটনায় আতঙ্কে যাত্রীরা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, 'জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে গিয়েছে। ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কয়েক জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। ১ এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ট্রেন চালানে হচ্ছে। কী কারণে দুর্ঘটনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে আধিকারিকরা যাচ্ছেন।' নিত্যযাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, এই জলের ট্যাঙ্কের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বার বার অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর ১২টার কিছু সময় পর আচমকাই জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে। আচমকা এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন যাত্রী জখম হয়েছেন। পূর্ব রেল শাখায় বর্ধমান জংশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই স্টেশনে ভিড় থাকে যাত্রীদের। বহু দূরপাল্লার ট্রেনও দাঁড়ায় এই স্টেশনে। বুধবারের এই ঘটনার জেরে বিঘ্নিত হয়েছে ট্রেন পরিষেবা।
তিন বছর আগে ২০২০ সালেও বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ২০২০ সালে স্টেশনের মূল ভবনের একাংশ ভেঙে পড়েছিল। জখম হন কয়েক জন। ভবনের ওই অংশেই ছিল টিকিট কাউন্টার এবং স্টেশনের মূল প্রবেশ পথ। সেই ঘটনার পর আবার দুর্ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিক ভাবেই যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।