ডিভিসি-র ছাড়া জলে ফের প্লাবিত হাওড়ার (Howrah) আমতা (Amta) ও উদয়নারায়নপুর (Udaynarayanpur)। রবিবার ভোর রাত থেকেই বাঁধ ভেঙে উদয়নারায়নপুরের টোকাপুর ও মনসুকা পয়েন্ট দিয়ে ঢুকতে শুরু করে দামোদরের জল। এছাড়া রাজাপুর এলাকা দিয়ে গতকাল রাত থেকেই জল ঢুকতে শুরু করে। যার জেরে, প্লাবিত উদয়নারায়ণপুরের ৫ থেকে 6 গ্রাম। গ্রামবাসীরা জিনিসপত্র নিয়ে নিচু জমি থেকে বাঁধের ওপরে উঠে এসেছেন। বর্তমানে একপ্রকার খোলা আকাশের নিচেই বসবাস করতে হচ্ছে তাঁদের। কিছু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। রাখা হয়েছে স্থানীয় স্কুলের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত প্রশাসন বা এলাকার রাজনৈতিক নেতৃত্বের থেকে কোনও রকম সহযোগিতা পাননি তাঁরা। ফলে আতঙ্কের দিন কাটছে তাঁদের। অন্যদিকে জল জমে সমস্যায় পড়েছে যান চলাচল। জল পেড়িয়ে যানবাহন নিয়ে যেতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
প্লাবিত খানাকুল
এদিকে, প্লাবিত হুগলির আরামবাগ (Arambagh) খানাকুলেরও (Khanakul) বিস্তীর্ণ অঞ্চল। খানাকুলে দুর্গত মানুষদের কাছে পৌঁছতে না পারার জন্য এনডিআরএফ-এর কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ। ধান্যঘড়ি এলাকার রূপনারায়ণের বাঁধ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলবন্দি হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়েও দেখা দেয় বিপত্তি। জলের তীব্র স্রোতের কারণে দুর্গতদের কাছে পৌঁছতে পারছে না উদ্ধারকারী দল। একইসঙ্গে তৈরি হয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। এই পরিস্থিতি এনডিআরএফ দলের সদস্যদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা।