শমিক ভট্টাচার্যসারা ভারতের অবিজেপি রাজ্যে বাংলাদেশি ধরা পড়ছে। আর তাদের কাছ থেকে মিলছে ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড। আর এই সব নথিগুলি বাংলাদেশিরা পেয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থেকে বা মধ্যমগ্রাম থেকে শিলিগুড়ি থেকে কিংবা সোনারপুর থেকে। SIR আবহে মুখ খুলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন।
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'BSF কটা লোককে ধরতে পারে। সারা ভারতের অবিজেপি রাজ্যে যেখানে বাংলাদেশি ধরা পড়ছে, তাদের কাছ থেকে পাওয়া ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড, সেগুলি তারা পেয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থেকে বা মধ্যমগ্রাম থেকে শিলিগুড়ি থেকে কিংবা সোনারপুর থেকে। এ রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির নয়, ভারত সরকারে নয়, এই বক্তব্য হচ্ছে কেরল এবং তামিলনাড়ুর পুলিশের।'
অনেককেই পাওয়া যাচ্ছে না
কিছুদিন ধরেই বিজেপি অভিযোগ করছে যে সারা SIR ঘোষণার পরই বাড়ির পরিচারিকাদের একাংশ বেপত্তা হয়ে পড়েছেন। আর সেই দাবি আরও একবার করলেন শমীক। তিনি বলেন, 'দিল্লিতে বেপাত্তা, কলকাতার নিউটাউনে বেপাত্তা, যোধপুরপার্কে বেপাত্তা, বহু মানুষকে পাওয়া যাচ্ছে না। রিঙ্কু, টিঙ্কু, ছবি, মান্তু কোথায় গেল, শাখা সিঁদুর পরে একদম হিন্দু স্ত্রী সেজে ঘুরছিল। কোথায় গেল, নেই।'
পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন যে কলকাতার আশপাশে জমি কিনে কিছু মানুষ এখন জলের দামে সব বিক্রি করে পালাচ্ছে। তাঁর কথায়, 'কলকাতার আশপাশে তো প্রচুর মানুষ জমি কিনেছিল, জমি বিক্রি করে চলে যাচ্ছে জলের দরে, ফ্ল্যাট বিক্রি করে চলে যাচ্ছে। আতঙ্কিত। বুঝে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদী, আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম অমিত শাহ। এ বারের নির্বাচন কমিশন মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করবে। পশ্চিমবঙ্গের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে।'
শমীকের মুখে ডেমোগ্রাফি চেঞ্জ
অনুপ্রবেশের জন্য যে ডেমোগ্রাফি বদলে যাচ্ছে, সেটা জানিয়েছে শমীক। পাশাপাশি তিনি এই বদলের জন্য তৃণমূল সরকারকেই দায়ী করেছেন। তাঁর সোজা কথা, 'পশ্চিবঙ্গকে প্যাসেজ হিসাবে ব্যবহার করে সারা ভারতের ডেমোগ্রাফি বদল হচ্ছে। সীমাঞ্চল, বনাঞ্চল, বিহার, ঝাড়খণ্ড তাদের ডেমোগ্রাফি বদলে যাচ্ছে। আর পশ্চিমবঙ্গের তো বদলেছেই। সারা ভরতবর্ষের মানুষকে এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের কারণে, তৃণমূলের কারণে, রোহিঙ্গাদের-বাংলাদেশি মুসলমানদের টেনে আনার কারণে ভারতবর্ষের কিছু শহর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।'
অর্থাৎ SIR আবহে আরও একবার ডেমোগ্রাফি চেঞ্জের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন শমীক। স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিলেন, তাঁরা নিজেদের দাবি থেকে পিছু হটছেন না। বরং এই দাবিকে পুঁজি করেই তাঁরা ২০২৬ বিধানসভা ভোটে যেতে চাইছেন তাঁরা বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।