৯ জুলাই বামেদের বনধে বাধ্যতামূলক হাজিরার নির্দেশ নবান্নর, তবে এই ৪ কারণে কামাইয়ে ছাড়

আগামী ৯ জুলাই, বুধবার সর্বভারতীয় ধর্মঘট ডেকেছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক সংগঠনগুলি। এই ধর্মঘটের সমর্থনে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন রাস্তায় নামলেও, সেই দিন সরকারি কর্মীদের জন্য কোনও ছুটি থাকবে না।

Advertisement
৯ জুলাই বামেদের বনধে হাজিরা বাধ্যতামূলক, বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নর১ জুলাই সরকারি অফিসে হাফ ডে, কী কারণে ছুটি দিল নবান্ন?
হাইলাইটস
  • আগামী ৯ জুলাই, বুধবার সর্বভারতীয় ধর্মঘট ডেকেছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক সংগঠনগুলি।
  • এই ধর্মঘটের সমর্থনে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন রাস্তায় নামলেও, সেই দিন সরকারি কর্মীদের জন্য কোনও ছুটি থাকবে না।

আগামী ৯ জুলাই, বুধবার সর্বভারতীয় ধর্মঘট ডেকেছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক সংগঠনগুলি। এই ধর্মঘটের সমর্থনে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন রাস্তায় নামলেও, সেই দিন সরকারি কর্মীদের জন্য কোনও ছুটি থাকবে না। এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। নবান্ন থেকে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওই দিন সমস্ত রাজ্য সরকারি দফতর খোলা থাকবে এবং কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।

ছুটি নয়, বেতন কাটা হবে অনুপস্থিতদের
অডিট ব্রাঞ্চের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৯ জুলাই কোনও রকম ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য ছুটি গ্রহণযোগ্য হবে না। যে কর্মীরা অফিসে উপস্থিত থাকবেন না, তাঁদের হাজিরা ‘ডাইস-নন’ হিসেবে গণ্য করা হবে, অর্থাৎ সেই দিনটি চাকরিজীবন থেকে বাদ যাবে। এমনকি অনুপস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীর বেতনও কাটা যাবে।

শোকজ এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও কর্মী অনুপস্থিত থাকেন, তবে তাঁকে শোকজ করা হবে। যথাযথ নথিপত্রসহ সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দিতে পারলে ছুটি মঞ্জুর করা হবে না এবং ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হতে পারে।

চারটি ক্ষেত্রে ছাড়
তবে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ছাড়ের কথাও জানানো হয়েছে—
১. কর্মী হাসপাতালে ভর্তি থাকলে।
২. পরিবারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে।
৩. গুরুতর অসুস্থতার কারণে ৮ জুলাইয়ের আগেই ছুটিতে থাকলে।
৪. পূর্বানুমোদিত মাতৃত্বকালীন ছুটি, চাইল্ড কেয়ার লিভ বা মেডিক্যাল লিভে থাকলে।

শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবিতে দেশজুড়ে ধর্মঘট
উল্লেখ্য, ৯ জুলাই মোদী সরকারের শ্রম কোড বাতিলের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনগুলি। তাঁদের অভিযোগ, এই নতুন শ্রম কোডের ফলে কর্মঘণ্টা বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করা হয়েছে এবং সংগঠিত ক্ষেত্রের ৭৫ শতাংশ কর্মী শ্রম সুরক্ষা থেকে বাদ পড়বেন। সেই বিরোধিতাতেই বুধবার সারাদিন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই বনধে তারা নেই। অফিস চলবে স্বাভাবিক নিয়মে।

Advertisement

 

TAGS:
POST A COMMENT
Advertisement