Prescription Guideline: ব্র্যান্ডেড নয়, জেনেরিক ওষুধের নাম লিখতে হবে, ডাক্তারদের একাধিক নির্দেশ ক্ষুদ্ধ স্বাস্থ্যভবনের

সরকারি চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন লেখার পদ্ধতি নিয়ে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যভবন। তারা প্রেসক্রিপশন অডিট করে দেখেছে যে বহু ডাক্তারের হাতের লেখা একবারে অস্পষ্ট। যার ফলে প্রেসক্রিপশন দেখে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। পাশাপাশি প্রেসক্রিপশনে জেনেরিক ওষুধের বদলে ব্র্যান্ড নেমে ওষুধ লেখা হচ্ছে। এমনকী লেখা থাকছে না কী অসুস্থতা হয়েছে। আর এই সব বিষয় নিয়েই রীতিমতো বিরক্ত স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement
ব্র্যান্ডেড নয়, জেনেরিক ওষুধের নাম লিখতে হবে, ডাক্তারদের একাধিক নির্দেশ ক্ষুদ্ধ স্বাস্থ্যভবনেরস্বাস্থ্যভবনের নির্দেশ
হাইলাইটস
  • সরকারি চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন লেখার পদ্ধতি নিয়ে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যভবন
  • তারা প্রেসক্রিপশন অডিট করে দেখেছে যে বহু ডাক্তারের হাতের লেখা একবারে অস্পষ্ট
  • যার ফলে প্রেসক্রিপশন দেখে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না

সরকারি চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন লেখার পদ্ধতি নিয়ে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যভবন। তারা প্রেসক্রিপশন অডিট করে দেখেছে যে বহু ডাক্তারের হাতের লেখা একবারে অস্পষ্ট। যার ফলে প্রেসক্রিপশন দেখে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। পাশাপাশি প্রেসক্রিপশনে জেনেরিক ওষুধের বদলে ব্র্যান্ড নেমে ওষুধ লেখা হচ্ছে। এমনকী লেখা থাকছে না কী অসুস্থতা হয়েছে। আর এই সব বিষয় নিয়েই রীতিমতো বিরক্ত স্বাস্থ্য দফতর।

তাদের মতে, এর ফলে রোগীদের হয়রানি বাড়ছে। দেখা দিচ্ছে একাধিক সমস্যা। ওষুধ সম্পর্কে বুঝতে সমস্যা হচ্ছে। 

চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

স্বাস্থ্য দফতর ৬ মাস ধরে প্রেসক্রিপশন অডিট করেছে। সেখানে উঠে এসেছে একাধিক অনিয়মের ছবি। যেমন ধরুন-

১. ডাক্তারেরা প্রেসক্রিপশনে কী লিখছেন বোঝা যাচ্ছে না

২. জেনেরিক ওষুধের বদলে ব্র্যান্ড নেমে লিখছেন ওষুধ

৩. রোগীর কী সমস্যা হয়েছে, সেটাও অনেক ক্ষেত্রে লেখা থাকছে না

৪. চিকিৎসক পরীক্ষা করে ঠিক কী বুঝছেন, সেটাও বলা লেখা হচ্ছে না অনেক ক্ষেত্রে

৫. এমনকী রোগীকে কোন ডাক্তার ডাক্তার দেখছেন, সেটাও অনেক ক্ষেত্রেই প্রেসক্রিপশনে দেখে বোঝা যাচ্ছে না

৬. ওষুধ সম্পর্কে বুঝতে পারছেন না রোগী

৭. কতদিন ধরে কী ভাবে ওষুধ খেতে হবে, সেটাও বোঝা যাচ্ছে না

আর এই সব বিষয় সামনে উঠে আসার পরই আবার কঠোর পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্য দফতর। তাদের পক্ষ থেকে এই মর্মে সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে একটি নির্দেশ গিয়েছে। সেখানে প্রেসক্রিপশন লেখার ক্ষেত্রে একাধিক নিয়ম মেনে চলতে লা হয়েছে।

কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?

১. স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে প্রেসক্রিপশন প্রিন্ট করে দিতে হবে অথবা ব্লক লেটারে লিখতে হবে

২. ওষুধের ব্র্যান্ড নেম লেখা যাবে না, জেনেরিক নেম লিখতে হবে

৩. প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকের নাম ক্যাপিটাল লেটারে লেখা থাকবে

৪. রোগীকে দেখে যা বোঝা যাচ্ছে, সেটা লিখতে হবে

Advertisement

৫. ওষুধের নাম লিখতে বলা হয়েছে ক্যাপিটাল লেটারে

৬. ওষুধের ডোজ, কতদিন চলবে ইত্যাদি স্পষ্টভাবে লিখতে বলা হয়েছে

আপাতত এই নির্দেশগুলি সব সরকারি চিকিৎসকদের মেনে চলতে বলা হয়েছে। তাহলেই রোগীদের সমস্যা কিছুটা মিটবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি চিকিৎসক এবং রোগীদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল হবে বলে তারা আশাবাদী। 

POST A COMMENT
Advertisement